লকডাউনে স্তব্ধ রাজধানী, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে তবুও জারি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ

নিয়ম অনুযায়ী, নির্মাণকাজ যে জায়গায় হচ্ছে, যদি কর্মীরা সেখানেই থাকেন, তবে নির্মাণকাজ চালু রাখা যেতে পারে। কিন্তু সংসদ ভবনের আশেপাশে কোনও শ্রমিকই থাকছেন না।

লকডাউনে স্তব্ধ রাজধানী, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে তবুও জারি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 28, 2021 | 11:54 AM

নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে ভারতে। দ্বিগুণ গতিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউন ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তবে লকডাউনও আটকাতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে। ২০২২ সালে ১৫ অগস্টের আগেই নতুন সংসদ ভবন গঠনের ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর। তাই লকডাউনের তোয়াক্কা না করেই চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ।

পুরনো সংসদভবনের পাশেই প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে নতুন সংসদ ভবন। বর্তমান সংসদের পাশেই ৬৪,৫০০ বর্গমিটার জুড়ে তৈরি হবে ত্রিভূজাকৃতির নতুন সংসদ ভবন। নতুন এই সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার আসন সংখ্যা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৮৮৮ ও ৩৮৪ করা করা হয়েছে। দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনের ক্ষেত্রে ১২২৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন।

আগামী বছরের অগস্ট মাসের মধ্যেই যাবতীয় কাজ শেষ করতে লকডাউনেও পুরদমে চলছে নির্মাণকাজ। তবে গণ্ডগোল বেধেছে এখানেই। নিয়মমাফিক, যদি কর্মীরা নির্মাণকাজ যে জায়গায় হচ্ছে, সেখানেই থাকেন, তবে নির্মাণকাজ চালু রাখা যেতে পারে। কিন্তু সংসদ ভবনের আশেপাশে কোনও শ্রমিকই থাকছেন না, ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত কীর্তিনগর ও তার আশেপাশের অঞ্চলে তাঁদের ঠাই হয়েছে।

এক শ্রমিক জানান, একটি বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই বাসে চেপেই তাঁরা প্রতিদিন কাজে যান। ১২ ঘণ্টা কাজের জন্য তাঁদের প্রতিদিন ৬০০ টাকা দেওয়া হয়।

কেন্দ্রের এই প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পরই বিরোধীদলগুলির তরফে বিরোধীতা করা হয়েছিল। গতবছরের লকডাউনের সময়কালে গরিব, পরিযায়ী শ্রমিকদের অর্থ সাহায্য করা উচিত ছিল বলে জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু চলতি বছর্র জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার পর এই বিষয়ে উচ্চবাচ্য করেননি কেউই।

আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: বয়স ১৮-র বেশি, এখনই ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করুন এক ক্লিকে