Work From Home: এবার সরকারি কর্মচারীদেরও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, অফিসে যেতে হবে না গর্ভবতী মহিলাদেরও
Central Govt Employees: কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে, আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের নিচের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দফতরে শারীরিক উপস্থিতি ৫০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করবে।
নয়া দিল্লি : দেশে ফের একবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (COVID 19 Cases in India)। দৈনিক সংক্রমণ গ্রাফ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতি সংক্রমণে রাশ টানতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) পথে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলিও। কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে, আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের নিচের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দফতরে শারীরিক উপস্থিতি ৫০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করবে। পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে।
যে সকল সরকারি কর্মচারীরা শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম এবং যাঁরা গর্ভবতী মহিলা কর্মচারী, তাঁদেরও অফিসে এসে কাজ করতে হবে না বলে জানানা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। এই উভয় ক্ষেত্রেই তাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন। সরকারি ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে কন্টেনমেন্ট জোনগুলি ডি-নোটিফাই না হওয়া পর্যন্ত কোভিড কন্টেনমেন্ট জোনে যে সমস্ত সরকারি আধিকারিক / কর্মচারীরা থাকেন, তাঁদেরও এখন অফিসে আসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
IMPORTANT ANNOUNCEMENT by #DoPT: Keeping in view the rise in #COVID cases in the last few days, the BIOMETRIC ATTENDANCE for govt officials and employees is being suspended with immediate effect, till further orders. Under leadership of PM Sh @NarendraModi, this 1/2
— Dr Jitendra Singh (@DrJitendraSingh) January 3, 2022
সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরগুলির আধিকারিক / কর্মচারীদের অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে।ইতিমধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং টুইটারে লিখেছেন, সরকারি কর্মীদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মী মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মচারীদের উপস্থিতি রেজিস্টারে তাদের উপস্থিতি ‘ম্যানুয়ালি’ করতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনার জন্য দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বায়োমেট্রিক বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর গত বছরের ৮ নভেম্বর থেকে সমস্ত স্তরের কর্মীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা পুনরায় শুরু করেছিল সরকার। কিন্তু বর্তমানে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে বায়োমেট্রিক হাজিরা ফের বন্ধ করল সরকার।
কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান চিকিৎসক এন কে অরোরা আশঙ্কা করছেন, অতিমারি তৃতীয় ঢেউ ভীষণভাবে প্রকট। তাঁর কথায়, “ভারত স্পষ্টতই করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলছে। পুরো ঢেউটি একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের দ্বারা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে – ওমিক্রন।” বিগত চার-পাঁচ দিনের করোনা পরিস্থিতি থেকে তা আরও স্পষ্ট বলে মত তাঁর। উল্লেখ্য বিগত দিনগুলিতে “আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি” পেয়েছে৷
কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধানের মতে, মুম্বই, দিল্লি এবং কলকাতার মতো বড় শহরগুলিতেই ওমিক্রনে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ। এন কে অরোরার মতে, “ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমরা করোনার নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণের সন্ধান পেয়েছিলাম। গত সপ্তাহে, গোটা দেশে মোট সংক্রমণের প্রায় ১২ শতাংশ ছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা অনেকটাই বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট সংক্রমণের ক্ষেত্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে ২৮ শতাংশ।”
আরও পড়ুন: Mumbai COVID 19: দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার পেরোলেই লকডাউন মুম্বইয়ে?