TMC in Goa: গোয়ায় মহুয়ার ‘ডানা ছাঁটতেই’ ডেপুটি হলেন সুষ্মিতারা?
Mohua Moitra: মহুয়ার ডেপুটি করে সুষ্মিতা ও সৌরভকে বসানো কি নেহাত নির্বাচনী রণকৌশল? না সুষ্মিতার ক্ষমতা বৃদ্ধি? নাকি ঠারেঠোরে মহুয়ার ডানা কাঁটার চেষ্টা? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কলকাতা ও পানাজি: জাতীয় রাজনীতিতে নিজের জায়গা আরও পাকা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এখন নজর দিয়েছেন গোয়ায় (TMC in Goa)। ত্রিপুরায় আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় এখন তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে পাখির চোখ গোয়া। কয়েক মাস পরেই গোয়ায় ভোট। আর তার ঠিক আগে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুষ্মিতা দেব (TMC MP Sushmita Dev) এবং আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে গোয়া তৃণমূলের কো-ইন-চার্জ পদে বসালেন মমতা। ভোটমুখী গোয়ায় এতদিন তৃণমূলের ইন-চার্জ হিসেবে একাই সব দেখে আসছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এখন মহুয়ার ডেপুটি করে সুষ্মিতা ও সৌরভকে বসানো কি নেহাত নির্বাচনী রণকৌশল? না সুষ্মিতার ক্ষমতা বৃদ্ধি? নাকি ঠারেঠোরে মহুয়ার ডানা কাঁটার চেষ্টা? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সদ্য তৃণমূল ছেড়েছেন গোয়ার পাঁচ নেতা
লুইজিনহো ফেলেইরিও দিয়ে শুরু। তারপর লিয়েন্ডার পেজ, নাফিসা আলির মতো ব্যক্তিত্বরা সে রাজ্যে তৃণমূলের হাত ধরেছেন। তবে এরই মধ্যে ঘাসফল শিবির বড় ধাক্কা খেয়েছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে দল ছেড়েছেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সহ মোট পাঁচজন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, গোয়াকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। একদিকে যখন তৃণমূল গোয়ায় সংগঠন মজবুত করতে চাইছে, তারই মধ্যে এই দলত্যাগ বড়সড় ধাক্কা। সেই কারণেই কি ডেপুটি করে পাঠানো হচ্ছে সুষ্মিতা দেব এবং সৌরভ চক্রবর্তীদের?
মমতার স্নেহবৃত্তের বাইরে মহুয়া?
বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে একটি কানাঘুষো সম্প্রতি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, মহুয়া মৈত্র নাকি এখন মমতার স্নেহবৃত্তের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেন। আর এই জল্পনা ছড়িয়েছে গত মাস থেকে। নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক চলছিল। আর সেই বৈঠকে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর মেজাজ গেল বিগড়ে। ভরা বৈঠকে সবার সামনে ধমক দিয়ে বসেছিলেন মহুয়া মৈত্রকে। বলেছিলেন, “মহুয়া এখানে আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই…” প্রাথমিকভাবে অনেকেই মনে করছিলেন, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে কোনও জটিলতা রয়েছে দলের অন্দরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যতেও সে কথা স্পষ্ট। কিন্তু ওই ধমকের থেকে আরও কিছুদিন পিছিয়ে গেলে বোঝা যাবে, রাজনীতির সমীকরণ সবসময় দুইয়ে দুইয়ে চার হয় না।
২ ডিসেম্বর। নবান্নে এসেছিলেন মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি। মমতার সঙ্গে দেখা করেন। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্য়ে। মমতা-আদানি সাক্ষাৎ পর্বের এক সপ্তাহ পরেই টুইটারে বোমা ফাটান মহুয়া। বেআইনি মালিকানাকে বৈধ করতে চাইছে বলে আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সেবিকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ সেই অভিযোগপত্রের প্রথম পাতাটি টুইটারে তুলেও ধরেছিলেন তিনি। মহুয়ার সেই টুইটের কারণেই কি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন মমতা? রাজনৈতিক মহলের একাংশ এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই তুলতে শুরু করেছেন। আর মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বাইরে চলে যাওয়ার কারণেই কি ডানা ছাঁটা হচ্ছে মহুয়ার? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।