বিমার মেয়াদ শেষ, করোনা যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে মিলবে না ৫০ লাখ টাকা, নতুন প্রকল্পের চিন্তাভাবনা কেন্দ্রের

বিগত একবছরে মোট ৭৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২৮৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকে ইতিমধ্যেই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

বিমার মেয়াদ শেষ, করোনা যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে মিলবে না ৫০ লাখ টাকা, নতুন প্রকল্পের চিন্তাভাবনা কেন্দ্রের
প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 19, 2021 | 10:13 AM

নয়া দিল্লি: গতবারের তুলনায় এ বার আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিনে-রাতে লড়াই চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, সেখানেই তাঁদের বিমা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ এই বিমার ঘোষণা করেছিলেন। এই বিমায় বলা গহয়েছিল, যদি করোনার ডিউটি করতে গিয়ে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারান, তবে মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে। প্রথমে ৯০ দিনের জন্য ঘোষণা করলেও পরে তার মেয়াদ বাড়িয়ে একবছর করা হয়।

গত মাসের ২৪ তারিখ এই বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সমস্ত রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠিতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অন্তর্গত এই বিমা স্কিম অত্যন্ত কার্যকর রূপে পরিণত হয়েছে এবং যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেছে।”

তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা যোদ্ধাদের ফের নামতে হওয়ায় কেন্দ্রের তরফেও তাঁদের সুরক্ষার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন প্যাকেজ ঘোষণা হতে পারে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত একবছরে মোট ৭৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ২৮৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবারকে ইতিমধ্যেই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে সরকারের তরফে এখনও কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, যেখানে মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের চিঠিতে জানানো হয়েছে, ২৪ মার্চ মধ্যরাত অবধি সমস্ত বিমার আবেদনই গ্রহণ করা হবে এবং যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে একমাসের সময় দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: করোনার কামড় থেকে বাঁচতে ৩ সপ্তাহের ‘লকডাউন’ রাজস্থানে