আজ আরও একবার মুখোমুখি কেন্দ্র-কৃষক, ১৯ জানুয়ারি বসছে ‘সুপ্রিম’ বৈঠক

ভূপিন্দর সিং মানের পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "ভূপিন্দরের পদত্যাগের কারণে আজকের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়া সম্ভব হল না। আগামিকাল এই বৈঠক হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট যদি নতুন করে এক সদস্য নিয়োগ না করে, তবে তিন সদস্য নিয়েই এই কমিটি কাজ করবে।"

আজ আরও একবার মুখোমুখি কেন্দ্র-কৃষক, ১৯ জানুয়ারি বসছে 'সুপ্রিম' বৈঠক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 15, 2021 | 12:20 PM

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটির এক সদস্য পদত্যাগের পরই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বৈঠক। অনিশ্চয়তা কাটাতে সেই কমিটিরই আরেক সদস্য মাঠে নামলেন। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনার জন্য আগামি ১৯ জানুয়ারি পুসা ক্যাম্পাসে বৈঠকে বসতে পারে এই কমিটি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কমিটির সদস্য অনিল ঘানওয়াত (Anil Ghanwat)। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আন্দোলনস্থলে যেতেও তাঁদের কোনও সমস্যা নেই বলেই তিনি জানান।

গত ১১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কৃষি আইন সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ২০ তারিখের আগেই বৈঠকে বসতে এবং দুমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে। আজ এই কমিটির বৈঠকে বসার কথা থাকলেও গতকালই কমিটির সদস্য ভূপিন্দর সিং মান (Bhupinder Singh Mann) পদত্যাগ করেন। এরপরই কমিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে গতকাল অনীল ঘানওয়াত বলেন, “আগামি ২০ জানুয়ারির আগেই কমিটির বৈঠক হবে। যতদূর সম্ভব, ১৯ জানুয়ারি পুসা ক্যাম্পাসে হতে পারে এই বৈঠক। তিনজন সদস্য নিয়েই হবে এই বৈঠক।”

ভূপিন্দর সিং মানের পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভূপিন্দরের পদত্যাগের কারণে আজকের ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়া সম্ভব হল না। আগামিকাল এই বৈঠক হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট যদি নতুন করে এক সদস্য নিয়োগ না করে, তবে তিন সদস্য নিয়েই এই কমিটি কাজ করবে।”

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকেই দেশে শুরু করোনা টিকাকরণ, মানতে হবে কী কী নিয়ম, জানেন?

কমিটির অন্য সদস্যরাও পদত্যাগ করতে পারেন কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আমায় নিয়োগ করেছে। যদি না সুপ্রিম কোর্ট নিজে আমায় পদত্যাগ করতে বলে, আমি পদত্যাগ করব না। বাকি সদস্যরাও কমিটি ছাড়বেন বলে মনে হয় না। তবে সকলেরই নিজস্ব মতামত রয়েছে এবং তাঁরা নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।”

সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচিত কমিটির সদস্যরা সকলেই কৃষি আইনের সপক্ষে-আন্দোলনকারী কৃষকদের এই দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি জানিনা সুপ্রিম কোর্ট কী বিচার করে আমাদের নির্বাচন করেছেন। নিশ্চয়ই আমাদের অতীতের রেকর্ড দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আমি সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।” একইসঙ্গে কৃষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কৃষকদের আন্দোলনের জন্যই একটি ভাল আইন তৈরি করার সুযোগ মিলেছে। এই কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।”

অন্যদিকে, আজ কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের নবম দফা বৈঠকে বসার কথা। এই বিষয়ে ঘানওয়াত বলেন, “কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে এটাই হয়তো শেষ বৈঠক। এরপর কমিটির সামনেই আলোচনার জন্য বসতে হবে সকলকে এবং এর প্রেক্ষিতেই আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেব।”

কৃষকদের কমিটির সামনে কথা বলার অনিচ্ছার কথা বলা হলে তিনি বলেন, “আমরা তাঁদের কাছে যাব। আমরা কৃষকদের ভাই, এর আগেও অতীতে আমরা একসঙ্গেই কাজ করেছি। আমরা তাঁদের কাছে গিয়ে একসঙ্গে বসে আলোচনা করব, এতে কোনও সমস্যা নেই। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা লজ্জিতও নই বা ভীতও নই। আমি সারাজীবন কৃষকদের মঙ্গলকামনাতেই কাজ করে এসেছি। কৃষকদের স্বার্থেই হাজার হাজার মানুষ বসে রয়েছেন, নিজেদের স্বাভাবিক জীবনও ত্যাগ করেছেন তাঁরা। আমাদের উদ্দেশ্য এক হলে, অহংকার বা সম্মানের কোনও বিষয়ই মাঝে আসতে পারে না।”

সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটিতে কৃষকরা ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের কাজই হল তাঁদের দাবি শোনা এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে তা তুলে ধরা। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারি আমরা। আমি নিশ্চিত যে একদিন আন্দেলনকারী কৃষকরাই বলবে আইন প্রয়োগ করা হোক।

আরও পড়ুন: দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মুকুল-দিলীপ! শুক্রবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ‘হাই ভোল্টেজ’ মিটিং