Demonetisation case: নোট বাতিল মামলায় হলফনামা দিতে না পারায় ‘সুপ্রিম ভর্ৎসনার’ মুখে কেন্দ্র
Demonetisation case in Supreme Court: বুধবারও নোট বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিতে পারল না কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: নোট বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলায়, হলফনামা জমা দিতে পারল না কেন্দ্র। বুধবার (৯ নভেম্বর), অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্করমানি তার জন্য আরও কিছু সময় চাইলেন। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতুবি রাখলেন বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমনিয়ন এবং বিভি নাগারত্নের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। কেন্দ্রের এহেন অবস্থান ‘বিব্রতকর’ বলে ভর্ৎসনাও করল ওই সাংবিধানিক বেঞ্চ।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ১০০০ ও ৫০০ টাকার পুরনো ব্যাঙ্কনোট বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা আরবিআই-এর পক্ষ থেকে কোনও বিস্তৃত হলফনামা পেশ করা হয়নি। গত ১২ অক্টোবর, বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী পি চিদম্বরম। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও আরবিআই-এর জবাব চেয়েছিল বেঞ্চ।
কিন্তু এদিন, অ্যাটর্নি জেনারেল হলফনামাটি চূড়ান্ত করার জন্য আরও এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন। তিনি জানান, এই মামলাকে কাঠামোগত উপায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো করে তৈরি করা হচ্ছে হলফনামাটি। তিনি আরও জানান, আগামী বুধ অথবা বৃহস্পতিবার নাগাদ, তিনি হলফনামাটি পেশ করতে পারবেন। এই আবেদনের জেরে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে বেঞ্চ জানিয়েছে, “সাধারণত সাংবিধানিক বেঞ্চ এইভাবে মুলতুবি রাখা হয় না। আমরা শুনানি শুরু করে এইভাবে উঠে যাই না। এটা আদালতের পক্ষে বিব্রতকর।”
আবেদনকারীদের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী শ্যাম দিভান জানান, এই ধরনের শুনানি মুলতুবি রাখা আদালতের রীতিবিরুদ্ধ। তিনি অনুরোধ করেন, সরকারের যখন হলফনামা জমা দিতে পারছে না, তার আগে তাঁদের তথ্য প্রমাণাদি পেশ করতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সকল তথ্য অবিতর্কিত বলে দাবি করেন তিনি। এর বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
হলফনামা তৈরির জন্য কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল, বলে জানান বিচারপতি নাজির। এই সময়সীমা “অল্প বা অপর্যাপ্ত” নয় বলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, ২৪ নভেম্বর ফের শুনানি হবে। বিচারপতি নাজির বলেন, “আমরা ২৪ তারিখ এর নিষ্পত্তি করব। ২৫ তারিখ একটি বিবিধ বিষয়ের শুনানির দিন। তবে, ওইদিনও এই বিষয়ে আমরা শুনানি চালিয়ে যাব।”