অক্সিজেনের অভাব মেটাতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন মোদী-শাহ, সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second Wave) ধাক্কায় কার্যত টালমাটাল গোটা দেশ। প্রত্যেক দিন সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। আর সেই সঙ্গে চলছে অক্সিজেন (Oxygen) নিয়ে টানাপোড়েন।
নয়া দিল্লি: দেশে বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আর এই অবস্থায় কেন্দ্রকে অক্সিজেন, ভ্যাকসিন-সহ কোভিড সংক্রান্ত বিষয়ে একগুচ্ছ তথ্য দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো মঙ্গলবারই ২০০ পাতার হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশ জুড়ে অক্সিজেনের জোগান বাড়াতে সরাসরি নজর রাখছে বলে সেই হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব চোখে পড়ছে গত কয়েক দিন ধরে। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই অক্সিজেনের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে কেমন? অক্সিজেন সংক্রান্ত পরিকল্পনাই বা কি? সেটাই জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘অক্সিজেন উৎপাদন বাড়াতে ও দেশের সব জায়গায় যথাযথভাবে যোগান দিতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন মোদী ও অমিত শাহ।’ হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে মেডিকেল অক্সিজেন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। অক্সিজেন ট্যাংকার যাতে বাড়ানো যায় সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।’ বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের যোগান অনেক দ্রুত দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে ওই হলফনামায় করোনা সংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করার যে পরিকল্পনা কেন্দ্র নিয়েছে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চে ছিল সেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি। আর সেখানে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, পুরো পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানোর জন্য হাইকোর্টের ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাজ্যগুলির পরিস্থিতি তারা অনেক কাছ থেকে দেখছে। কিন্তু তাই বলে সুপ্রিম কোর্ট চুপ করে বসে থাকবে না বলে জানান বিচারপতিরা। যেহেতু দেশ জুড়ে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাই সেখানে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হবে বলেই মন্তব্য করা হয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফ থেকে। এরপরই একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখা হয় আদালতের তরফে।
অক্সিজেন সম্পর্কিত সম্পূর্ণ পরিকল্পনার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয়। রেমডেসিভিরের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য কী প্রস্তুতি চলছে? সেই বিষয়েও জানতে চা্ওয়া হয়েছিল।