টিকা নেওয়ার পরেও কামড় বসাচ্ছে করোনা, কারণ খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্র
স্রেফ পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের একাধিক রাজ্যেই টিকার দু'টি ডোজ় নিয়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
নয়া দিল্লি: দেশে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা (COVID) সংক্রমণ। করোনা রোখার মূল অস্ত্র ভ্যাকসিনও অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে সংক্রমণ রুখতে। দেশজুড়ে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটায় এ বার নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনার রিপোর্ট জমা নিচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্য়েও কয়েকদিন আগে একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, যাঁরা করোনা টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন।
তাই টিকা নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে স্যাম্পেল রেফারেন্স ফর্ম অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। যেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রক টিকাপ্রাপকের কাছে টিকাকরণের তারিখ, টিকার নাম-সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে টিকা নিয়েও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিক ও এনআরএসের অ্যাসিসট্যান্ট সুপার। তখন তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ভাইরাসের কী ধরনের স্ট্রেন মোকাবিলায় টিকা রক্ষাকবচ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন।
কিন্তু স্রেফ পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের একাধিক রাজ্যেই টিকার দু’টি ডোজ় নিয়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই সেই কারণ খতিয়ে দেখতে এই রিপোর্ট সংগ্রহের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। দেশে এখন ৪৫-ঊর্ধ্ব প্রত্যেকে করোনা টিকা পাচ্ছেন। তবে বাড়তি এই করোনা সংক্রমণ রুখতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সকল বয়সীদের জন্য করোনা টিকার আবেদন করেছিলেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকের জন্য করোনা টিকার দাবি করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। যদিও গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এখনই দেশের প্রত্যেককে করোনা টিকা দেবে না কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আগে যাঁদের করোনা টিকা প্রয়োজন তাঁদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে সময় এলে প্রত্যেকের জন্য বয়স নির্বিশেষে করোনা টিকা পাওয়ার রাস্তা খোলা হবে।
আরও পড়ুন: গাড়িতে একা থাকলেও মাস্ক বাধ্যতামূলক, নির্দেশ হাইকোর্টের