Couple Murder: চেন্নাইয়ের দম্পতিকে নৃশংসভাবে খুন, ফার্ম হাউজে পুঁতে ৯ কেজি সোনা নিয়ে চম্পট, রয়েছে বাংলা-যোগও
Crime News: কৃষ্ণার বাড়ি নেপালে। গত সাত বছর ধরে শ্রীকান্তের গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। কৃষ্ণার বাবা শ্রীকান্তর চেন্নাইয়ের এক ফার্ম হাউজে কাজ করতেন।
চেন্নাই: শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে চেন্নাইয়ে ফেরেন দম্পতি। মেয়ে আমেরিকাতেই থাকেন। মা, বাবা বাড়ি ফেরার পর আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না মেয়ে। মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ বলছিল। রবিবার সকালেও একই পরিস্থিতি দেখে সন্দেহ হয়। এরপরই এক আত্মীয়কে বিষয়টি জানান দম্পতির কন্যা। তিনি গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপরই উদ্ধার করা হয় দম্পতির দেহ। তদন্তে জানা যায়, ওই স্বামী, স্ত্রীকে খুন করেন গাড়ির চালক ও তাঁর বন্ধু। যে বন্ধুর বাড়ি দার্জিলিংয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৯ কেজি সোনা ও ৬০ কেজি রুপোর গয়না। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্ধ্র প্রদেশের ওঙ্গোলে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই দম্পতির নাম শ্রীকান্ত (৬০) ও অনুরাধা (৫৩)। শ্রীকান্ত পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। গত ১০ মাস ধরে সন্তানদের কাছে আমেরিকায় ছিলেন তাঁরা। শনিবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ চেন্নাই বিমানবন্দরে নামেন। মাইলাপোরের বৃন্দাবন নগরের দ্বারকা কলোনিতে তাঁদের বাড়ি। সেখানেই চালক কৃষ্ণার ওই দম্পতিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ আধিকারিক এন কান্নান বলেন, “বেলা ১টা নাগাদ খুনের ঘটনা ঘটে। আমেরিকায় যাওয়ার পর শ্রীকান্ত মাস দু’য়েক আগে একবার চেন্নাইয়ে এসেছিলেন। পরে ফিরেও যান। সেই সময় কৃষ্ণা ফোনে শ্রীকান্তকে সম্পত্তিসংক্রান্ত আলোচনা করতে শুনেছিলেন। প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি। বাড়িতে প্রচুর নগদও ছিল। এরপরই কৃষ্ণা সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন।” এই পরিকল্পনায় কৃষ্ণার এক বন্ধু রবি রাই, যিনি আবার দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা, তিনিও যুক্ত হন বলেই অভিযোগ।
কৃষ্ণার বাড়ি নেপালে। গত সাত বছর ধরে শ্রীকান্তের গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। কৃষ্ণার বাবা শ্রীকান্তর চেন্নাইয়ের এক ফার্ম হাউজে কাজ করতেন। তাও ২০ বছরের বেশি সময় ধরে। পুলিশ জানিয়েছে, কৃষ্ণার জন্য মাইলাপোরে আলাদা একটি ঘর ছিল। মালিক না থাকলে মালিকের গাড়ি হয়ে যেত কৃষ্ণার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। সেই চালকের এমন কাণ্ডে হতবাক পুলিশও। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতিকে মারার পর তাঁদের ফার্ম হাউজেই দেহ পুঁতে দেন কৃষ্ণা ও রবি। পুলিশের জেরার মুখে কৃতকর্মের কথা শিকারও করেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতিকে খুনের পর লকার খুলে নগদ বিশেষ না পেলেও বিপুল সোনা, রুপোর গয়না পান। এরপরই দেহ দু’টি চাদরে মুড়ে ফার্ম হাউজে নিয়ে যান। যাওয়ার আগে ডেটল দিয়ে ঘর পরিষ্কারও করে রেখে যান তাঁরা।
কিন্তু কীভাবে দার্জিলিংয়ের রবিকে চিনলেন কৃষ্ণা? পুলিশ জানতে পেরেছে, কৃষ্ণা ও তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকেন। তাঁদের একটি মাত্র ছেলে, যে দার্জিলিংয়ে পড়াশোনা করে। সেই সূত্র ধরেই রবির সঙ্গে আলাপ এবং বিপুল সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে এই ছক। কিন্তু এত বছরের সম্পর্কের পরিণতি যে এমনটা হতে পারে এখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না চেন্নাইয়ের ওই দম্পতির আত্মীয় স্বজন।