heartwarming letter to army: ওয়েনাড়ে জওয়ানদের হৃদয়স্পর্শী চিঠি তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার, মন ছুঁয়ে যাবে আপনারও

heartwarming letter to army: গত কয়েকদিনে সেই কেরলই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দিশেহারা। ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়। বিপর্যয়ের পরই উদ্ধারকাজে নামেন সেনাবাহিনীর ৫০০ জওয়ান। শনিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন তাঁরা। বিধ্বস্ত এলাকায় ধ্বংসস্তূপের তলায় কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা দেখছেন। কখনও বিস্কুট খেয়েই কাটাচ্ছেন জওয়ানরা।

heartwarming letter to army: ওয়েনাড়ে জওয়ানদের হৃদয়স্পর্শী চিঠি তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার, মন ছুঁয়ে যাবে আপনারও
জওয়ানদের হৃদয়স্পর্শী চিঠি পড়ুয়ার
Follow Us:
| Updated on: Aug 03, 2024 | 9:58 PM

ওয়েনাড়: প্রবল বৃষ্টি। ভূমিধস। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়। মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের বেশি মানুষের। কিন্তু, এই বিপর্যয়ে মানুষকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সেনা জওয়ানরা। তাঁদের এই উদ্ধারকাজ দেখে জওয়ানদের হৃদয়স্পর্শী চিঠি লিখল তৃতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়া। সে-ও একদিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চায়।

কেরলকে ভগবানের আপন দেশ বলে। গত কয়েকদিনে সেই কেরলই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দিশেহারা। ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধসে তছনছ হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়। বিপর্যয়ের পরই উদ্ধারকাজে নামেন সেনাবাহিনীর ৫০০ জওয়ান। শনিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছেন তাঁরা। বিধ্বস্ত এলাকায় ধ্বংসস্তূপের তলায় কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা দেখছেন। কখনও বিস্কুট খেয়েই কাটাচ্ছেন জওয়ানরা।

জওয়ানদের তৎপরতা দেখে অবাক তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া রায়ান। মালায়ালম ভাষায় জওয়ানদের চিঠি লিখল সে। চিঠিতে রায়ান লিখেছে, “আমার প্রিয় সেনা, ভয়াবহ ভূমিধসে বিধ্বস্ত আমার ভালবাসার ওয়েনাড়। বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি খুব খুশি ও গর্বিত যে ধ্বংসস্তূপের তলায় যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের আপনারা উদ্ধার করছেন।” চিঠিতে রায়ান আরও লিখেছে, “আমি এখনই একটা ভিডিয়োয় দেখলাম, নিজেদের খিদে মেটাতে আপনারা বিস্কুট খেয়ে আবার সেতু নির্মাণে লেগে পড়লেন। আমিও একদিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাই এবং দেশকে রক্ষা করতে চাই।”

রায়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছে সেনাবাহিনী। রায়ানকে ইয়ং ওয়ারিয়র বলে সেনা জানিয়েছে, “তোমার কথা আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তুমি সেনার পোশাক পরে আমাদের পাশে দাঁড়াবে, সেই দিনের অপেক্ষা করছি। সবাই মিলে আমরা দেশকে গর্বিত করব। ধন্যবাদ, ইয়ং ওয়ারিয়র।”

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কেরলে বন্যায় ৪০০ জনের মতো মারা যান। তারপর এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেনি দক্ষিণের এই রাজ্যে।