মানবতাই একমাত্র ধর্ম ওয়েনাডে, সদ্য অনাথদের দত্তক নিতে আর্জি নিঃসন্তান দম্পতির, চোখে জল এল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

Wayanad Landslide: ভয়ঙ্কর ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ এখনও ২০০-র বেশি মানুষ। এই বিপর্যয়, দুঃসময়ের মধ্যেও কিছু কিছু এমন ঘটনা ঘটছে, যা আবারও প্রমাণ করছে যে মানবতা এখনও বেঁচে! কেরলের ওয়েনাডে বিপর্যয়ে যে শিশুরা নিজেদের পরিবারকে হারিয়েছে, তাদের ফের মা-বাবার ভালবাসা দিতে রাজি অনেকে।

মানবতাই একমাত্র ধর্ম ওয়েনাডে, সদ্য অনাথদের দত্তক নিতে আর্জি নিঃসন্তান দম্পতির, চোখে জল এল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওয়েনাডে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করে আনছে সেনা।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Aug 04, 2024 | 7:14 AM

তিরুবনন্তপুরম: মঙ্গলবার রাতেই ঘটেছিল অমঙ্গল। পাহাড় ভেঙে নেমে এসেছিল কাদামাটি আর পাথর। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। কোনটা রাস্তা, কোনটা বাড়ি-কিছুই দেখে বোঝার উপায় নেই। ছবির মতো সুন্দর সাজানো ওয়েনাড এখন মৃত্যুপুরী। ভয়ঙ্কর ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৩৫০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ এখনও ২০০-র বেশি মানুষ। এই বিপর্যয়, দুঃসময়ের মধ্যেও কিছু কিছু এমন ঘটনা ঘটছে, যা আবারও প্রমাণ করছে যে মানবতা এখনও বেঁচে! কেরলের ওয়েনাডে বিপর্যয়ে যে শিশুরা নিজেদের পরিবারকে হারিয়েছে, তাদের ফের মা-বাবার ভালবাসা দিতে রাজি অনেকে। সরকারে কাছে আসছে দত্তক নেওয়ার আর্জি।

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ শনিবারই ফেসবুক পোস্টে ধন্যবাদ জানান বহু মানুষকে, যারা ওয়েনাডে বিপর্যয়ে পরিবার হারা শিশুদের দত্তক নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন। সম্প্রতিই সুধী নামক এক ব্য়ক্তি ফেসবুকে পোস্টে আর্জি জানিয়েছিলেন শিশু দত্তক নেওয়ার। তিনি লিখেছিলেন, “আমার ও স্ত্রীর কোনও সন্তান নেই। আমরা নিজেদের সবটুকু ভালবাসা দিতে ওদের দেখভাল ও বড় করার দায়িত্ব নিতে চাই।”

এই পোস্ট নজরে পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তিনি লেখেন, “এই কমেন্টটি নজরে আসেনি কারণ ওয়েনাডে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সুধী, অন্তর থেকে তোমাদের ধন্যবাদ জানাই। এই কষ্টটা বুঝতে পারছি। তোমার শব্দে চোখে জল আসছে। তোমায় ও তোমার স্ত্রীকে অনেক ভালবাসা।”

এরপরই তিনি পোস্ট করে দত্তক নেওয়ার পদ্ধতিও বর্ণনা করে দেন যাতে বাকি আগ্রহী মানুষেরও সুবিধা হয়। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “সম্পূর্ণ আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করে ফস্টার কেয়ার ও দত্তক নেওয়া সম্ভব। সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথারিটিতে যারা রেজিস্টারড, তারা শিশু দত্তক নিতে পারেনষ ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্যও ফস্টার কেয়ারের সুবিধা রয়েছে। তবে সেটাও শিশুদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই…”।