PFI Ban : ‘সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে’, PFI-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত একাধিক রাজনৈতিক দলের

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Updated on: Sep 28, 2022 | 4:09 PM

PFI Ban : পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা সবসময়ই সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিল।

PFI Ban : 'সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে', PFI-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত একাধিক রাজনৈতিক দলের
বন্ধ হল নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই-র টুইটার ও ওয়েবসাইট।

নয়া দিল্লি : দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া এবং তার সঙ্গে জড়িত একাধিক সংগঠনকে। ইউএপিএ আইনের অধীনে এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার অর্থ এখন থেকে দেশে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে এই সংগঠনগুলি। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তারা কোনওরকম প্রতিবাদ, সম্মেলন ও অনুদান সংগ্রহে অংশ নিতে পারবে না। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল।

পিএফআই-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারপর এই নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের বিজেপি নেতারা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সমস্ত দেশবিরোধী গোষ্ঠীর কাছে বার্তা যায় যে তারা এই দেশে টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের জনগণ, বিরোধী দল সিপিআই, সিপিএম, কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফে এই দাবি করা হয়েছে। পিএফআই হল সিমি (নিষিদ্ধ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) ও কেএফডি (কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি)-র অবতার। তারা দেশজুড়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিল।’

এদিকে রাজনৈতিকভাবে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও এদিন কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সমর্থন করেছে কংগ্রেস। পিএফআই বা এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও উল্লেখ না করেই কংগ্রেস বুধবার জানিয়েছে, কংগ্রেস সবসময়ই সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু দুই প্রকারের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিল এবং থাকবে। একটি অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, দলের নীতি সর্বদা আপোসহীনভাবে সমস্ত মতাদর্শ এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই করা যারা ধর্মকে অপব্যবহার করে এবং সমাজের মেরুকরণ করে। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস সবসময়ই সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিল এবং থাকবে – সংখ্যাগরিষ্ঠ, সংখ্যালঘু কোনো পার্থক্য করে না’। এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট করেছেন, ‘কেউ ভারতের বিরুদ্ধে বিভেদমূলক পরিকল্পনা করলে তার কঠোরভাবে মোকাবিলা করা নিশ্চিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভারত সরকার। মোদী যুগের ভারত সিদ্ধান্তমূলক ও সাহসী।’

আজমের দারগার ধর্মীয় প্রধান জ়াইনুল আবেদিন আলি খান কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। মাজারের দেওয়ান সুফি সাধক মইনুন্দিন চিস্তি জানিয়েছেন, আইন মেনে সন্ত্রাস প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো উচিত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে আবেদিন আলি খান জানিয়েছেন, ‘যদি দেশ সুরক্ষিত থাকে তাহলে আমরা সুরক্ষিত থাকব। কোনও চিন্তাভাবনা বা সংগঠনের থেকে দেশ অনেক বড়। যদি কেউ এই দেশ ভেঙে ফেলার, দেশের একতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার এবং দেশের শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে তার এখানে বসবাসের কোনও অধিকার নেই।’ এছাড়াও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার সর্বভারতীয় সভাপতি এম কে ফেইজ় বলেছেন,  কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla