Congress Candidate: পদ্ম ছেড়ে ধরেছিলেন হাত, পুরনো ‘বন্ধু’ই আজ মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বাজি
Lok Sabha Election 2024: আবারও এক দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকায় দলের 'পুরনো মুখ'-দের উপরে যেমন আস্থা রেখেছে কংগ্রেস, তেমনই আবার নতুন কিছু মুখকেও জায়গা দিয়েছে। তবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কাকে দাঁড় করানো হবে, তার দিকেই সকলের নজর ছিল।
লখনউ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করবে কংগ্রেস? এই প্রশ্ন ঘুরছিল দীর্ঘদিন ধরেই। জল্পনা ছিল, পোড় খাওয়া কোনও নেতাকেই এবার দাঁড় করানো হতে পারে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান। নাম ঘোষণা হল মোদীর প্রতিপক্ষের। তিনি পোড় খাওয়া নেতা হলেও, নিরাশ অনেকেই। কে এই প্রার্থী জানেন?
আবারও এক দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকায় দলের ‘পুরনো মুখ’-দের উপরে যেমন আস্থা রেখেছে কংগ্রেস, তেমনই আবার নতুন কিছু মুখকেও জায়গা দিয়েছে। তবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কাকে দাঁড় করানো হবে, তার দিকেই সকলের নজর ছিল। শনিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা গেল, মোদীর বিরুদ্ধে বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রাই-কে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও দুইবার, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন অজয় রাই। তবে দুইবারই তিনি বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী পেয়েছিলেন ৫৬ শতাংশ ভোট। অজয় রাই পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ভোট। সেখানেই আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল পেয়েছিলেন সাড়ে ৩ লাখ ভোট।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভোটের শতাংশ আরও বৃদ্ধি পায়, ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী শালিনী যাদব পেয়েছিলেন ১৮ শতাংশ ভোট। অজয় রাই পেয়েছিলেন ১৪ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সাল থেকেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বারাণসী। প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনেই বিজেপি প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন। একমাত্র ২০০৪ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী রাজেশ কুমার জিতেছিলেন।
মজার বিষয় হল, অজয় রাই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বিজেপির হাত ধরেই। বিজেপির ছাত্র সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে তিনবার বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির টিকিটে জয়ী হন তিনি। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেতেই তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে তিন বছর কাটানোর পর, ২০১২ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।