Rahul Gandhi: ‘কংগ্রেসে গণতন্ত্র আছে?’ রাহুলের ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ মন্তব্যে পাল্টা সওয়াল বিজেপির

Rahul Gandhi: সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল বলেন, "বিরোধী দলগুলিকে তাদের দাবি-দাওয়া ও বক্তব্য তুলে ধরতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা যেমন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের কথা শুনতে চায় না। তারা কেবল ৪-৫ জনের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করছে এবং দুইজনের নেতৃত্বে বড় বড় ২-৩ জন শিল্পপতির জন্য সরকার কাজ করছে।"

Rahul Gandhi: 'কংগ্রেসে গণতন্ত্র আছে?' রাহুলের 'গণতন্ত্রের মৃত্যু' মন্তব্যে পাল্টা সওয়াল বিজেপির
সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 11:55 AM

নয়া দিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেন, “বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি না, বিক্ষোভ দেখাতে পারছি না, বিক্ষোভ দেখালেই লোকসভা-রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র মারা গিয়েছে।”

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আজ দেশজুড়ে প্রতিবাদে পথে নামছে কংগ্রেস। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও ও রাষ্ট্রপতি ভবন অবধি মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেস নেতা-সমর্থকদের। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদিন রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখছি। সাত দশক ধরে আমরা এক একটা ইট জুড়ে গণতন্ত্র তৈরি করেছিলাম, তা পাঁচ বছরেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্রকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যারাই একনায়কতন্ত্রের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাদের উপরই নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, জেলে ভরা হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তাঁর সঙ্গে হিটলারেও তুলনা করেন। তিনি বলেন, “হিটলারও তো নির্বাচন জিতেছিল। কীভাবে তিনি সেই নির্বাচন জিততেন? কারণ জার্মানির প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের উপরে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। আমার হাতে নির্বাচন ব্যবস্থা তুলে দিন, আমি দেখিয়ে দেব কীভাবে নির্বাচন জিততে হয়।”

মোদী সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল আরও বলেন, “বিরোধী দলগুলিকে তাদের দাবি-দাওয়া ও বক্তব্য তুলে ধরতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা যেমন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের কথা শুনতে চায় না। তারা কেবল ৪-৫ জনের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করছে এবং দুইজনের নেতৃত্বে বড় বড় ২-৩ জন শিল্পপতির জন্য সরকার কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেকটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিজেপি ও আরএসএসের অধীনে রয়েছে। আমার কাজ হল আরএসএস-কে আটকানো এবং তা করবই। আমি যত এই কাজ করব, ততই আমার উপরে আক্রমণ বাড়বে।”

রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “২০১৫ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা জামিন পেয়েছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধী। এই মামলা বহু পুরনো, তখন ওনারা অভিযোগ করেননি যে ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নিজেরা ধরা পড়ে গিয়েছেন, এই বিষয় থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই এইসব প্রচেষ্টা করছে কংগ্রেস।”

বিজেপি নেতা রবি শঙ্করও রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, “নিজেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপমান করা বন্ধ করুন।” গণতন্ত্র নিয়ে সওয়াল করার প্রসঙ্গেও বিজেপির তরফে পরিবারতন্ত্রের কথা টেনে প্রশ্ন করা হয় যে, কংগ্রেসে কী গণতন্ত্র রয়েছে।