Parliament Winter Session: ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম দল অথচ সংসদীয় কমিটিতে জায়গা নেই’, সংসদে সরব সুদীপ, সায় অধীরের
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আমাদের কোনও চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি।"
নয়া দিল্লি: সংসদীয় কমিটিতে সভাপতিত্বে বিরোধীদের জায়গা দেওয়া হয়নি। শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই এই ইস্যুতে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, “সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিরোধীদের সভাপতিত্ব দেওয়া হয়নি।” এপ্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরোধীদের অপসারিত করার উদাহরণ তুলে ধরেন বহরমপুরের সাংসদ। তবে কেবল অধীর চৌধুরী নন, সংসদীয় কমিটিতে বিরোধীদের জায়গা না দেওয়া ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেসও।
সংসদীয় কমিটিতে বিরোধীদের সভাপতিত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মুলতুবি প্রস্তাব তোলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও কোনও মুলতুবি প্রস্তাব অনুমোদন করছেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার বলেন ওম বিড়লা। এরপরই সুর চড়িয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্পিকারকে বলেন, “লোকসভার সমস্ত ঐতিহ্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একটি সংসদীয় কমিটির সভাপতিত্ব বিরোধী দলগুলোকে দেওয়া হয়নি।” যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়।
অধীর চৌধুরীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্পিকার ওম বিড়লার পালটা প্রশ্ন, আপনি বক্তার অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন নাকি আপনি ঐতিহ্যের কথা বলছেন? এরপরই অধীর রঞ্জনকে সমর্থন জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আমাদের কোনও চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি।”
প্রসঙ্গত, সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিরোধীদের দেওয়াই চিরাচরিত রীতি। কিন্তু, দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে সংসদের ৩১টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি। যদিও এটা কেবল সংসদে নয়, বাংলার বিধানসভাতেও একই নজির দেখা গিয়েছে। পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান পদটি দেওয়া হয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে। যদিও পরে মুকুল রায় নিজেকে বিজেপি দলের সদস্য বলেই দাবি জানান।