Parliament Protest: ‘মুখ ফসকে’ দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ উল্লেখ অধীরের, ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, উত্তাল সংসদ

Parliament Protest: নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি রাষ্ট্রপতির জায়গায় দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে উল্লেখ করেন।

Parliament Protest: 'মুখ ফসকে' দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' উল্লেখ অধীরের, ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, উত্তাল সংসদ
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্য ঘিরে উত্তাল সংসদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 12:28 PM

নয়া দিল্লি: চলতি সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। এরমধ্যেই নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি রাষ্ট্রপতির জায়গায় দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে উল্লেখ করেন। কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরেই উত্তাল হল লোকসভা। শাসক ও বিরোধী দলের বাদানুবাদ, হই-হট্টগোলে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্য়সভা। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী ও নির্মলা সীতারামন। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদের দাবি তিনি মুখ ফসকে ভুল করে এই মন্তব্য করেছেন।

এদিন সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই উত্তাল হয় লোকসভা। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, তাঁকে ‘ছোট’ করতেই কংগ্রেস সাংসদ এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অধীর চৌধুরী ও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে থাকা একজন মহিলাকে অপমান করার অনুমতি দিয়েছেন সনিয়া গান্ধীই।” তিনি কংগ্রেস নেত্রীকে আদিবাসী-বিরোধী, দলিত-বিরোধী ও নারী-বিরোধী বলেও অ্যাখ্য়া দেন।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও সংসদ চত্বরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তিনি বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবেই লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। এরজন্য কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধীর রাষ্ট্রপতি ও দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

এদিকে, বিতর্ক বাড়তেই কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ক্ষমা চেয়ে বলেন যে, মুখ ফসকে এই মন্তব্য করে ফেলেছেন তিনি। তিল কে তাল বানাচ্ছে বিজেপি। মূল্যবৃদ্ধি, অগ্নিপথ প্রকল্প, বেকারত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই বিজেপির  এই প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রপতি যেই হন না কেন, তিনি ব্রাহ্মণই হন বা আদিবাসী, আমাদের কাছে তিনি রাষ্ট্রপতিই। এটি অত্যন্ত সম্মানের একটি পদ। কাল আমরা যখন বিজয়চকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আমরা বারবার বলেছিলাম যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাই। একবারই মুখ ফসকে রাষ্ট্রপত্নী বলে ফেলি। সঙ্গে সঙ্গে বলেওছিলাম মুখ ফসকে বলেছি। সেই বিষয়কে নিয়েই এত বড় ইস্যু বানানো হচ্ছে। গতকাল আমি একাধিক সাংবাদিক বৈঠক করেছি, কোথাও ওনাকে (রাষ্ট্রপতি) অবমাননাকর কোনও মন্তব্য করিনি। একবারই শুধু মুখ ফসকে, ভুলবশত বলেছি।”

কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে বিতর্ক ও ক্ষমা প্রার্থনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ইতিমধ্যেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী ক্ষমা চেয়েছেন।