Congress-BJP: নতুন সংসদকে ‘মোদী মাল্টিপ্লেক্স’ তকমা জয়রাম রমেশের, নাড্ডা বললেন, ‘নীচু মানসিকতার প্রমাণ’

New Parliament: শনিবার সকালে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে লেখেন, "এত জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্বোধন করা নতুন সংসদ ভবন আসলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যকেই তুলে ধরেছে। এটিকে মোদী মাল্টিপ্লেক্স বা মোদী ম্যারিয়ট বলা উচিত।  অধিবেশনের চারদিন পরে আমি যা দেখলাম, তা হল আলোচনা ও গল্পের মৃত্যু হয়েছে-সংসদের দুই কক্ষের ভিতর ও লবিতে।"

Congress-BJP: নতুন সংসদকে 'মোদী মাল্টিপ্লেক্স' তকমা জয়রাম রমেশের, নাড্ডা বললেন, 'নীচু মানসিকতার প্রমাণ'
নতুন সংসদ ভবন নিয়ে শুরু নতুন তরজা।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2023 | 1:07 PM

নয়া দিল্লি: আর পুরনো সংসদ ভবন নয়, নতুন সংসদেই (New Parliament) হবে অধিবেশন। সংসদের বিশেষ অধিবেশনেই নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসি মুখেই সমস্ত সাংসদরা নতুন সংসদ ভবনে গেলেও, অধিবেশন শেষ হতেই ভিন্ন সুর কংগ্রেসের (Congress) গলায়। নতুন সংসদ ভবনের গঠন ও পরিকাঠামো নিয়ে সমালোচনায় সরব কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। তাঁর অভিযোগ, নতুন সংসদ ভবনে সাংসদদের একে অপরকে দেখতে বাইনোকুলার ব্যবহার করতে হবে দূরত্বের জন্য। কংগ্রেসের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের নীচু মানসিকতার প্রমাণ এটা।

কী টুইট করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ?

শনিবার সকালে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে লেখেন, “এত জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্বোধন করা নতুন সংসদ ভবন আসলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যকেই তুলে ধরেছে। এটিকে মোদী মাল্টিপ্লেক্স বা মোদী ম্যারিয়ট বলা উচিত।  অধিবেশনের চারদিন পরে আমি যা দেখলাম, তা হল আলোচনা ও গল্পের মৃত্যু হয়েছে-সংসদের দুই কক্ষের ভিতর ও লবিতে। যদি স্থাপত্যশৈলি গণতন্ত্রকে হত্যা করতে পারে, তবে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান না বদলেই তা করতে সক্ষম হয়েছেন। হলে একে অপরকে দেখার জন্য বাইনোকুলার ব্যবহার করতে হবে। পুরনো সংসদ ভবনে শুধু একটা মাধুর্য্যই ছিল না, পাশাপাশি এখানে আলোচনাও হত। সংসদের দুই কক্ষের মধ্য়ে, সেন্ট্রাল হলে যাতায়াত খুব সহজ ছিল। কিন্তু নতুন সংসদ ভবনে সেই বন্ধনই তৈরি হচ্ছে না দূরত্বের কারণে। পুরনো সংসদ ভবনে কেউ হারিয়ে গেলেও সমস্যা হত না এর বৃত্তাকার আকৃতির জন্য। কিন্তু নতুন সংসদ ভবনে হারিয়ে যাওয়ার অর্থ হল গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়া। পুরনো সংসদ ভবন খোলামেলা ছিল, এই সংসদে দমবন্ধকর পরিবেশ। আমার মনে হয়, বাকি অনেক সাংসদরাও একই অনুভব করছেন। এটাই হয় যখন সংসদে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালে সরকারের পালাবদলের পর হয়তো এই সংসদ ভবনের সদব্য়বহার হবে।”

পাল্টা জবাব বিজেপির-

জয়রাম রমেশের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “কংগ্রেসের নীচু মানসিকতার প্রমাণ এটা। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্খাকে অপমান। এই প্রথম নয় যখন কংগ্রেস সংসদ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করল। ১৯৭৫ সালেও এই প্রচেষ্টা করেছিল এবং ব্যার্থ হয়েছিল।”