Shashi Tharoor on Manipur Violence: ‘ভোটাররা প্রতারিত মনে করছেন’, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি শশী থারুরের
Shashi Tharoor on Manipur Violence: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনও মোতায়েন রয়েছে সেনা, আধা-সেনা ও অসম রাইফেলসের বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
ইম্ফল: দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় যে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করে নিরাপত্তাজনিত সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ‘চিত্রাঙ্গদার’ এই রাজ্যে এখন ভারী বুটের শব্দ শোনা যায় খালি। সেনা, আধা-সেনা, অসম রাইফেলসের বাহিনী টহল দিচ্ছে জায়গায় জায়গায়। কেন্দ্রের পাঠানো বাহিনী পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে সেনা। মণিপুরে কুকি সম্প্রদায় ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্য়ের পরিস্থিতির জন্য় বিজেপিকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি এই রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলেন। তিনি এও বলেন, মণিপুরের ভোটাররা প্রতারিত বোধ করছেন।
শশী থারুর রবিবার টুইটে লেখেন, “মণিপুরের সহিংসতা অব্যাহত থাকায়, সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভারতীয়দের নিজেদের জিজ্ঞাসা করা উচিত আমাদের যে সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কী হল।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “মণিপুরের ভোটাররা তাদের রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার মাত্র এক বছর পরেই চরম বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করছেন। সময় এসেছে রাষ্ট্রপতি শাসনের। রাজ্য সরকারকে যে কাজের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল তা করতে সমর্থ নয় তারা।”
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিপুরের সংখ্যাগুরু মেইতেই সম্প্রদায় ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষোভ-হিংসা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফে। মাঝে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিজের হাতে তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে আতঙ্কে ঘরছাড়া হয়েছেন বগু মণিপুরী। কয়েক হাজার আদিবাসী অসমের চাঁচারেও আশ্রয় নিয়েছেন। সংঘর্ষে উত্তপ্ত জায়গাগুলি থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চূড়াচাঁদপুরে রবিবার আংশিক কার্ফু তুলে নেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ যাতে ওষুধ, খাবারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে পারেন, তার জন্যই এই কার্ফু প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার সকালে নতুন করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তুললেন শশী থারুর।