Gngajal GST: গঙ্গাজলের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি? খাড়্গের অভিযোগের পাল্টা বিবৃতি কেন্দ্রের
Gangajal sale: ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে গঙ্গাজল বিশেষ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তাই ২০১৬ সাল থেকেই দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিসে গঙ্গাজল বিক্রি শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৬ সাল থেকেই দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিসে গঙ্গাজল বিক্রি শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্যাকেজড মিনারেল জলের মতোই বোতলে করে ঋষিকেশ ও গঙ্গোত্রীর জল বিক্রি হয়। জলের পরিমাণ অনুসারে দাম আলাদা রাখা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: পুজো থেকে শুরু করে উপনয়ন, বিয়ে, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান-সহ হিন্দুদের বিভিন্ন ধর্মীয় আচারের অন্যতম উপকরণ হল গঙ্গাজল (Gngajal)। সেই পবিত্র গঙ্গানদীর জলেও এবার কর! তাও আবার অন্যান্য সামগ্রীর মতো ১৮ শতাংশ কর! গঙ্গাজলের উপর ১৮ শতাংশ GST বসানো হয়েছে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এটা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপও দাগেন তিনি। এবার কংগ্রেস সভাপতির এই অভিযোগ খারিজ করে দিল কেন্দ্র। গঙ্গাজলের উপর কোনরকম কর বসানো হয়নি বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC)।
বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি পার্বতী কুণ্ডে পুজো দিয়ে আদি কৈলাসের কাছে প্রার্থনাও করেন। সেই সময়ই গঙ্গাজলের উপর কর বসানোর অভিযোগ তুলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে হিন্দিতে তিনি লেখেন, “ভারতীয়দের কাছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মোক্ষদাতা মা গঙ্গার গুরুত্ব অনেক বেশি। আপনি আজ উত্তরাখণ্ডে আছেন এটা খুব ভাল। কিন্তু, আপনার সরকার পবিত্র গঙ্গার জলের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করেছে।” এটা ‘লুঠপাঠ ও ভণ্ডামির চরম পর্যায়’ বলেও মন্তব্য করেছেন খাড়্গে।
তবে কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ সঠিক নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। CBIC-র তরফে বিবৃতিতে পাল্টা বলা হয়েছে, “সারা দেশে গৃহস্থদের পুজোয় ব্যবহৃত হয় গঙ্গাজল। পুজো সামগ্রী জিএসটি-র বাইরে। জিএসটি লাগু হওয়ার সময় থেকেই এটা জিএসটি-র বাইরে রাখা হয়েছে।”
CBIC-র তরফে আরও জানানো হয়, জিএসটি কাউন্সিলের ১৪ তম (১৮ ও ১৯ মে, ২০১৭) এবং ১৫ তম (৩ জুন, ২০১৭) বৈঠকে পুজো সামগ্রীর উপর জিএসটি লাগু করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং এটা জিএসটি তালিকার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি মানুষ গঙ্গানদীর সুবিধা পায় না। কিন্তু, পুজো, বিয়ে থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে গঙ্গাজল বিশেষ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তাই কারও গঙ্গাজল পেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য ২০১৬ সাল থেকেই দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিসে গঙ্গাজল বিক্রি শুরু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্যাকেজড মিনারেল জলের মতোই বোতলে করে ঋষিকেশ ও গঙ্গোত্রীর জল বিক্রি হয়। জলের পরিমাণ অনুসারে দাম আলাদা রাখা হয়েছে। ঋষিকেশের গঙ্গাজলের ২০০ ও ৫০০ মিলিলিটার বোতলের দাম যথাক্রমে ১৫ টাকা ও ২২ টাকা। আর গঙ্গোত্রীর গঙ্গাজলের ২০০ ও ৫০০ মিলিলিটার বোতলের দাম যথাক্রমে ২২ টাকা ও ৩৫ টাকা।