Mallikarjun Kharge: একদিনে সাসপেন্ড ৭৮ সাংসদ, বিরোধী সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক খাড়্গের
MPs meeting: বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সোমবারই রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৪ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অর্থাৎ চলতি অধিবেশনে মোট ৯২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেনজির এই ঘটনায় এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রূপরেখা নির্ধারণ করতেই এদিন সমস্ত বিরোধী সংসদীয় দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন খাড়্গে।
নয়া দিল্লি: আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া জোট। মূলত, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্ডা ঠিক করতে এদিন বৈঠক করবেন বিরোধী নেতৃত্বরা। তার আগে এদিন সকাল ১০ টায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বসছে বিরোধী সংসদীয় দলের নেতাদের বৈঠক। মূলত, নজিরবিহীনভাবে সাংসদদের সাসপেনশনের ঘটনাতেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন খাড়্গে।
সূত্রের খবর, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে সোমবারই রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৪ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অর্থাৎ চলতি অধিবেশনে মোট ৯২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেনজির এই ঘটনায় এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রূপরেখা নির্ধারণ করতেই এদিন সমস্ত বিরোধী সংসদীয় দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন খাড়্গে। বলা যায়, এভাবে সাংসদদের সাসপেনশনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হবে তা চূড়ান্ত হবে এই বৈঠকে।
সাংসদদের একাংশ ইতিমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে যে, বিরোধী সাংসদরা একজোট হয়ে অধিবেশনের বাকি দিনগুলি অধিবেশন বয়কট করবে। এই প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বৈঠকের পর বিরোধী সংসদীয় দলের নেতা এবং সাসপেন্ডেড সাংসদরা গান্ধী মূর্তিতে যাবেন। এরপর বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিরোধী সংসদীয় দলের নেতারা। সবমিলিয়ে, এদিন সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে রাজধানী।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভায় হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবি জানিয়ে ওয়েলে নেমে স্লোগানও দিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনাতেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে একের পর এক সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। গত বৃহস্পতিবার ১৪ জন বিরোধী সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশেনের বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হয়। এরপর সোমবার সেই একই অপরাধে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৭৮ জন বিরোধী সাংসদকে একইভাবে চলতি অধিবেশনে বাকি দিনগুলির জন্য সাসপেন্ড করা হল। যা নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা।