Shashi Tharoor: ‘নাম আছে কিন্তু ফোন নম্বর নেই!’ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন শশী থারুর?

Shashi Tharoor: তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য রাজ্য কংগ্রেস সভাপতিরা 'অনুপলব্ধ'।

Shashi Tharoor: 'নাম আছে কিন্তু ফোন নম্বর নেই!' কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন শশী থারুর?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 5:34 PM

নয়া দিল্লি: আগামী সোমবার, ১৭ অক্টোবর দীর্ঘ ২২ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress Presidential Election)। কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের মুখোমুখি লড়াই হবে। নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শশী থারুর। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য রাজ্য কংগ্রেস সভাপতিরা ‘অনুপলব্ধ’। পক্ষপাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের এই প্রার্থী। দীর্ঘদিন পর এই প্রথম কোনও অ-গান্ধী সদস্য দলীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে চলেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে শশী থারুর জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়্গে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে দলের সর্বস্তরে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেশি এবং নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি বাড়তি সাহায্য পাচ্ছেন। থারুর বলেন, “আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অথবা পরিষদীয় দলের নেতারা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে স্বাগত জানাচ্ছেন এবং তাঁর সঙ্গে বসে আলোচনা করছেন, কারণ তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু আমার সঙ্গে কখনও এমনটা হয়নি। আমি কোনও রাজ্যে গেলে সেখানকারা কংগ্রেস সভাপতিকে পাইনি। আমি কোনও অভিযোগ করছি না, কিন্তু আপনাদের চোখে কি পার্থক্যটা ধরা পড়ছে না?”

থারুর জানিয়েছেন, সোমবারের নির্বাচনের জন্য তাঁকে ভোটারদের অপরিপূর্ণ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। থারুরের দাবি, “আমাকে দুটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম তালিকায় কোনও ফোন নম্বর নেই, তাহলে কীভাবে একজন ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন? আমি একবারও বলছি না এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২২ বছর পর নির্বাচন হচ্ছে, সেই কারণে কিছু খামতি থাকতে পারে বলেই মনে হচ্ছে।” থারুর বলেন, “আমি জানি মধুসূদন মিস্ত্রি ও তাঁর দল অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার চেষ্টা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা কোনও অভিযোগ নেই।” তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর জন্য তাঁর একমাত্র উপায় গণমাধ্যম। দেশের শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে এখন কোন প্রার্থী জয়ী হন সেটাই দেখার।