Prashant Kishor On Congress: ‘গুজরাট, হিমাচলে পরাজয় পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বকে সময় দিয়েছে’, কংগ্রেসকে নজিরবিহীন কটাক্ষ পিকের
Congress: প্রশান্তের এই টুইটে যে ছত্রছত্রে কংগ্রেসের প্রতি কটাক্ষ রয়েছে, সে কথা সহজেই বোধগম্য। প্রসঙ্গত, প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন তিনি শতাব্দী প্রাচীন দলকে বেশ কিছু বদল আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালাবাহানার পর কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে না পেরে দলে যোগ দেওয়া পরিকল্পনা বাতিল করে ‘একলা চলো’-র সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন দেশের সবথেকে হাই প্রোফাইল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। চলতি মাসের শেষেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Assembly Election)। একই সঙ্গে পাহাড়ে ঘেরা হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হবে। এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দেওয়া পাশাপাশি আগাম ভবিষ্যদ্বণী করলেন প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি রাজস্থানে সদ্য সমাপ্ত ৩ দিন ব্যাপী কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই ভোটকুশলী। প্রশান্তের মতে, এই চিন্তন শিবির থেকে ‘অর্থপূর্ণ’ কোনও কিছুই বেরিয়ে আসেনি। তিনি সটান জানিয়ে দিয়েছেন আসন্ন গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে পর্যদুস্ত হতে চলেছে কংগ্রেস। শুক্রবার টুইটে প্রশান্ত লেখেন, “উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের ফলাফল নিয়ে আমাকে বারবার প্রশ্ন করা হচ্ছে। আমার মতে এই শিবির থেকে স্থিতাবস্থাকে দীর্ঘায়িত করা ছাড়া অর্থপূর্ণ কোনও কিছ অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। গুজরাট ও হিমাচল নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয় অবধি কংগ্রেস নেতৃত্বকে কিছুকে সময় দেওয়া হয়েছে।”
I’ve been repeatedly asked to comment on the outcome of #UdaipurChintanShivir
In my view, it failed to achieve anything meaningful other than prolonging the status-quo and giving some time to the #Congress leadership, at least till the impending electoral rout in Gujarat and HP!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) May 20, 2022
প্রশান্তের এই টুইটে যে ছত্রছত্রে কংগ্রেসের প্রতি কটাক্ষ রয়েছে, সে কথা সহজেই বোধগম্য। প্রসঙ্গত, প্রশান্তের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে যখন আলোচনা চলছিল, তখন তিনি শতাব্দী প্রাচীন দলকে বেশ কিছু বদল আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অ-গান্ধী কোনও ব্যক্তি কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব সামলাক, এমনটাই চেয়েছিলেন প্রশান্ত। অন্যদিকে প্রশান্তের পরামর্শের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব, সেই কারণে কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে জন্মভূমি বিহার থেকে একক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন প্রশান্ত।
রাজস্থানের চিন্তন শিবিরে সনিয়া, রাহুল সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের সাংগঠিক কাঠামোতে বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে যে ভোট বৈতরণী পার করাতে পারবে না, টুইটারে পরোক্ষে সে কথা জানিয়ে দিলেন প্রশান্ত। ২০২১ সালে বাংলার নির্বাচন নিয়ে প্রশান্তের করা ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলে গিয়েছিল। গুজরাট ও হিমাচলের নির্বাচনে প্রশান্তের গণনা মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার।





