Contempt of Court: আদালত অবমাননা বিচারপতিদের রক্ষা করার অস্ত্র নয়: CJI চন্দ্রচূড়

দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, “আদালত অবমাননার জন্য শাস্তির বিষয়টি করা হয়েছে, যাতে কেউ আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ না করতে পারে। বিচারকের সুনাম রক্ষার জন্য নয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, যদি কেউ আদালতের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেন বা আদালতের মধ্যে গন্ডগোল করে শুনানিতে বাধার সৃষ্টি করেন বা বিচার ব্যবস্থার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা লাগু হবে।”

Contempt of Court: আদালত অবমাননা বিচারপতিদের রক্ষা করার অস্ত্র নয়: CJI চন্দ্রচূড়
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 7:45 PM

নয়াদিল্লি: আদালত অবমাননা বিধির পরিসর এবং কোন ক্ষেত্রে এই আদালত অবমাননার বিষয়টি প্রযোজ্য হয়, সে সম্পর্কে জানালেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এ বিষয়ে তিনি সাফ জানিয়েছেন, বহু সমালোচিত এবং ভীতি সঞ্চারকারী আদালত অবমাননা বিধি বিচারপতিদের সমালোচনা থেকে রক্ষাকবজ দেওয়ার জন্য নয়। বরং আদালতের নির্দেশ ও কার্যপ্রণালী অমান্য করা বা বাধা সৃষ্টি করার প্রতিষেধক। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেখানেই এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।

সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধান বিচারপতিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ যা মনে আসে তা বলে। এই বক্তব্য কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার সুনাম, সামাজিক জীবন বা মর্যাদার ক্ষতি করছে কি না, তা নিয়ে তাঁরা ভাবেন না। এই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে কী আদালত আবমাননার আইন লাগুর প্রয়োজন?”

এই প্রশ্নের জবাবেই দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, “আদালত অবমাননার জন্য শাস্তির বিষয়টি করা হয়েছে, যাতে কেউ আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ না করতে পারে। বিচারপতি/ বিচারকের সুনাম রক্ষার জন্য নয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, যদি কেউ আদালতের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেন বা আদালতের মধ্যে গন্ডগোল করে শুনানিতে বাধার সৃষ্টি করেন বা বিচার ব্যবস্থার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা লাগু হবে।”

এর পরই বিচারপতি/ বিচারকদের রক্ষার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি আদালত অবমাননার বিধি কোনও বিচারপতি/বিচারককে সমালোচনা থেকে রক্ষাকবজ দেওয়ার জন্য নয়। কোনও বিচারপতি/ বিচারকের সুনাম নির্ভর করা উচিত তাঁর দেওয়া রায়, সিদ্ধান্ত এবং কর্মজীবনের উপর।” এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, “এটা সত্যি সোশ্যাল মিডিয়া একটি নতুন যুগের আগমন ঘটিয়েছে। যেখানে আমি দেখতে পাই, লোক জন মিথ্যা আর্টিকেল এবং ভুল তথ্য আমার নামে চালিয়ে দিচ্ছে। যে কথা আমি কখনও বলিইনি। কিন্তু যখন কোনও রায়ের ভুল ব্যাখ্যা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে, তখন রায়ের গুরুত্বকে খাটো করা হয়। এটা নিয়ে ভাবার দরকার আছে। সে জন্য মিডিয়া এবং নাগরিকদের সঙ্গে আদালতের যোগাযোগ রক্ষা প্রয়োজন।”