দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৪ হাজার। গোটা দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৮৬৮। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সোমবার থেকেই দেশে চালু হয়েছে বুস্টার ডোজ় প্রদান। করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিক, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছেন, তারাও দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৬ মাস বাদে প্রিকশন ডোজ় পাবেন। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে আসল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯০ গুণ বেশি হতে পারে। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ জন যাত্রী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। অন্তর্দেশীয় বিমানে এক যাত্রীর দেহে মিলল করোনার সংক্রমণ। কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ারগামী বিমানে ওই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এর পাশাপাশি, কলকাতা থেকে দোহাগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে চার যাত্রীর দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ।
করোনা পরীক্ষার হার অনেকটাই বাড়ল রাজ্যে। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭১ হাজারের বেশি। আর সেই সঙ্গে মঙ্গলবারের তুলনায় বাড়ল সংক্রমণও। বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ১৫৫। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। মৃতের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বিস্তারিত পড়ুন : দার্জিলিং, নদিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বেড়ে দ্বিগুণ, রাজ্যে নতুন আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি
ওমিক্রনে হদিশ মেলার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক বিধি জারি করেছিল কেন্দ্র। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোতভাবে চেষ্টা করা হয়। তারপরও দেশের প্রায় সব রাজ্যেই নতুন করে শুরু হয়েছে সংক্রমণের দাপট। মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। দেশে যে সব রাজ্য উদ্বেগের কেন্দ্রে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বাংলা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে উদ্বেগের তালিকায় পশ্চিবঙ্গের নাম উল্লেখ করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লাভ আগরওয়াল। এ রাজ্যের পাশাপাশি, সেই তালিকায় ওপরের দিকে নাম রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের। পজিটিভিটি রেটও বাংলাতেই সর্বোচ্চ।
বিস্তারিত পড়ুন: কেন্দ্রের উদ্বেগের তালিকায় রাজ্য, দিল্লি-মুম্বইকে ছাপিয়ে পজিটিভিটি রেট সর্বোচ্চ বাংলায়
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বুধবার জানিয়েছেন, ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী ১৫৯ টি দেশে এই সংক্রমণ বাড়ছে। ইউরোপের ৮টি দেশে গত দুই সপ্তাহে সংক্রমণ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে ।
বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের কাঞ্চনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে একের পর এক চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মী সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সাময়িক ভাবে হাসপাতালের ইনডোর পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: Corona Virus: এবার বাঁকুড়া! চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমিত হওয়ায় বন্ধ হল ইনডোর পরিষেবা
এ দিন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন (Satyendar Jain)বলেন, “যদি আগামী দুই-তিনদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমে যায়, তবে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া বা শিথিল করা হতে পারে। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, শীঘ্রই সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হবে।”
বিস্তারিত পড়ুন: Delhi COVID Restriction: ‘রোগী ভর্তির সংখ্যা কম, আগামী ২-৩দিনও সংক্রমণ কমতে থাকলে…’ ভাল খবরের ইঙ্গিত দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বিশ্বের একাধিক দেশে হু হু করে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। বর্তমানে ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও ওমিক্রনের সংক্রমণ একেবারে শীর্ষে পৌঁছেছে। তবে এবার ক্রমশ নীচের দিকে নামবে সংক্রমণের সেই গ্রাফ। এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক আলি মোকদাদ জানিয়েছেন, যতটা তীব্র গতিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ ওপরের দিকে উঠেছে, সেই গতিতেই নীচের দিকে নামবে।
বিস্তারিত পড়ুন : Omicron Variant: হু হু করে নীচের দিকে নামবে ওমিক্রনের গ্রাফ, পরিস্থিতি দেখে বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিধানসভা নির্বাচনের আর একমাস বাকি, তার আগেই করোনা আক্রান্ত হলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পঞ্জাব লোক কংগ্রেসের প্রধান নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। এদিন দুপুরে তিনি নিজেই টুইট করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। বিগত কয়েকদিনে তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদেরও করোনা পরীক্ষা করানোর অনুরোধ করেন তিনি।
I have tested positive for #Covid with mild symptoms. Have isolated myself and request all those who came in contact with me to get themselves tested.
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) January 12, 2022
এবার রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরমহলেও ঢুকে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন দলীয় কর্মী। একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলার পরই গোটা কার্যালয় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
করোনা পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই, এই বিষয়েও সহমত পোষণ করেন ডঃ জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, “শরীরে ভাইরাস প্রবেশের দু’দিনের মধ্যেই ভাইরাস দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই করোনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ার আগেই, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করলেও, তাতে আমরা পিছিয়েই থাকব।”
তবে করোনা পরীক্ষা বা আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলে, ওমিক্রনের আসল ব্যপ্তি সম্পর্কে কীভাবে জানা যাবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে আমরা সংক্রমণের সঙ্গেই বাস করতে শিখে গিয়েছি। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, যা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই সময়ও সংক্রমণের আসল বিস্তার সম্পর্কে জানতে আক্রান্তের সংখ্যাকে ৩০ দিয়ে গুণ করা হত, আসল আক্রান্তের সংখ্যা জানতে। কারণ ছোট স্তরে আক্রান্ত থেকে শুরু করে তাদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাদ পড়ে যায়। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক স্তরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, আসল আক্রান্তের সংখ্যা জানতে তা বর্তমান আক্রান্তের ৬০ থেকে ৯০ গুণ বেশি বলেই ধরা হচ্ছে।
শহরের বিভিন্ন বাজারে কঠোরভাবে কোভিড বিধি মানার জন্য কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার। শহরের সব বাজারের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি বিষয় কড়া ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাতে।
বিস্তারিত পড়ুন: KMC to Prevent COVID: আচমকাই অভিযানে বাজারে বিধিভঙ্গ হলেই কঠোর শাস্তি! কোভিড নিয়ন্ত্রণে ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনকে কড়া চিঠি পুরসভার
নয়া দিল্লি: দেশে কোভিড ঝড়। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে, কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘৪৮ ঘণ্টার অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি না থাকে’, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের একদিন আগেই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শহরের বড় আবাসনগুলিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে। আরবানা, স্বর্ণমণি, শালবনি, এবং নিউটাউনের একাধিক আবাসনেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই সব আবাসনে করোনা সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা।
বিস্তারিত পড়ুন: ঝুপড়ির তুলনায় অভিজাত আবাসনগুলিই বেশি ‘কেয়ারলেস’, উৎকন্ঠা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের, রিপোর্ট পেশ নবান্নে
কোভিড প্রোটোকলের সরলীকরণই তৃতীয় ঢেউয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তা সে কনটেনমেন্ট জোনের তালিকাই হোক বা হাসপাতালে কোভিড-নন কোভিড রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার নিয়মকানুন। তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের গতিবিধি পরীক্ষা করে দু’ক্ষেত্রেই পরিবর্তন চান রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিত্সকদের একাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা এখন হাঁচি-কাশির শহরে পরিণত হয়েছে। কে পজিটিভ, কে নেগেটিভ বোঝাই দায়! পজিটিভ-নেগেটিভ ফারাক করার নিয়মই চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: কনটেইনমেন্ট জোনের প্রয়োজনই নেই! কোভিড প্রোটোকলের সরলীকরণের পক্ষে সওয়াল চিকিৎসকদের একাংশের
কলকাতা: হাইকোর্টের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কিন্তু, বিতর্ক এড়ানো যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরে যথাযথ কোভিড বিধি পালন করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই বুধবারই সাগরে যাচ্ছেন গঙ্গাসাগর কমিটির চেয়ারম্যান সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: কোভিড বিধি কি যথাযথ পালিত হচ্ছে? খতিয়ে দেখতে বুধেই সাগরে পা কমিটি চেয়ারম্যান সমাপ্তির
আইসিএমআরের সায়েন্টেফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারপার্সন ডঃ জয়প্রকাশ মুলীয়ীল দাবি করেন, বর্তমানে যে সংখ্যক করোনা বা ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, তা আসল আক্রান্তের সংখ্যার ধারেকাছেও নেই। দেশে আসল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯০ গুণ বেশি হতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন: Omicron Surge in India: ‘৯০ গুণ বেশি হতে পারে আসল আক্রান্তের সংখ্যা’, চাঞ্চল্যকর দাবি ওমিক্রন ঘিরে!
দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০ জন, যা গতকালের তুলনায় ১৫.৮ শতাংশ বেশি।
জানা গিয়েছে, একের পর এক শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। মঙ্গলবারই খবর পাওয়া যায়, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রবাদপ্রতিম গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। এই খবর পাওয়ার পরই তাঁর বাড়িতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী, গায়িকার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন। বিহার ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও বাসবরাজ বোম্মাইকেও ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে টুইট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি, সেখানেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান। সেই টুইটে তিনি লেখেন, “আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি। আমার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। যাবতীয় প্রোটোকল মেনে আমি সকলের থেকে নিজেকে দূরে রেখেছি এবং আপাতত বাড়িতেই একান্তবাসে রয়েছি। যারা বিগত কয়েকদিনে আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।”
I have tested positive for Covid 19 today with mild symptoms. Following all the necessary protocols, I have isolated myself and I am under home quarantine. I request all those who have come in contact with me to isolate themselves and get tested.
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) January 11, 2022
আইসিএমআর(ICMR)-র ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট এন এপিডেমিওলজিস্টের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান ডঃ জয়প্রকাশ মুলীয়ীল বলেন, “করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রায় অদমনীয়। সকলেই এই ভ্যা্রিয়েন্টে আক্রান্ত হবেন। বুস্টার ভ্যাকসিনও এই সংক্রমণ আটকাতে পারবে না। সকলেই সংক্রমিত হবেন। গোটা বিশ্বজুড়েই তাই হচ্ছে, সেখানেও সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ বুস্টার ডোজ়।”
আইসিএমআরের বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, দেহের ভিতরে আপনাআপনি তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আজীবন থেকে যেতে পারে। আর সেই কারণেই বিশ্বের বাকি দেশগুলির মতো ভারত ওতটা প্রভাবিত হয়নি। তিনি জানান, করোনার প্রথম টিকা নেওয়ার আগেই দেশের ৮৫ শতাংশ জনগণের করোনা হয়েছিল। ফলে প্রথম ডোজ় আসলে বুস্টার ডোজ় হিসাবেই কাজ করেছে। চিকিৎসক মহল বা কোনও স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফেই বুস্টার ডোজ়ের সুপারিশ দেওয়া হয়নি, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সংক্রমণের বৃদ্ধি ও অভিযোজনকে কোনও বুস্টার ভ্যাকসিন রুখতে পারবে না।”
বিস্তারিত পড়ুন: Omicron & Booster Dose: ‘ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রন…’, সংক্রমণের গতিতেও ‘আশার আলো’ই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা সংক্রমণ, যা বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা নিয়ে আর ভয় নেই বলে জানান সরকারি এপিডেমিওলজিস্ট ডঃ জয়প্রকাশ মুলীয়ীল। তিনি বলেন, “করোনা আর ভয়ঙ্কর কোনও রোগ নয়। কারণ এর নতুন স্ট্রেনে সংক্রমণের গুরুতর আকার ধারণ করার সম্ভাবনা অনেক কম, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও অনেক কম।”