KMC to Prevent COVID: আচমকা অভিযানে বাজারে বিধিভঙ্গ ধরা পড়লেই কঠোর শাস্তি! কোভিড নিয়ন্ত্রণে কড়া পুরসভা
KMC to Prevent COVID: শহরের সব বাজারের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি বিষয় কড়া ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাতে।
কলকাতা: শহরের বিভিন্ন বাজারে কঠোরভাবে কোভিড বিধি মানার জন্য কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার। শহরের সব বাজারের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি বিষয় কড়া ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাতে।
মূলত, প্রথম বিষয়টি হল মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। মাস্ক না পরে কেনাবেচা চললে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেটি স্থায়ীভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে, কিংবা অস্থায়ীভাবেও হতে পারে। স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সব দোকানে। দ্বিতীয়ত, যে কোনও সময়ে প্রশাসনিক কর্তারা বাজার পরিদর্শনে যেতে পারেন। তৃতীয়ত, অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন প্রত্যেক দিন বাজার ঘুরে দেখেন। অর্থাৎ বিধি মানা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে আচমকা অভিযান চলবে। বিধি না মানা হলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে দোকান।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণের আঁতুড়ঘর হিসাবেই চিহ্নিত বাজারগুলি। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অসচেতনতার ছবি। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই, স্বাস্থ্যবিধি শিকেয়, স্যানিটাইজেশনেরও ব্যবস্থা নেই। নাগরিক সচেতনতা বাড়াতেই আপাতত জোর দিচ্ছে পুরসভা। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাজারের দিকেই বিশেষ নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে এটি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
উল্লেখ্য, বুধবারই উত্তর দমদম পৌরসভার পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুদিন বাজার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধ এবং শুক্রবার বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার উত্তর দমদম পৌরসভার ৩৪ টি ওয়ার্ডের বাজার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার দোকান অর্থাৎ ওষুধের দোকান, দুধের দোকান এবং মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় আক্রান্ত ২১ হাজার। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ পার। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৬ হাজার ৫২৫ জন। বাংলায় পজিটিভিটি রেট ৩২ শতাংশ। দুশ্চিন্তা সেটাই। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪ হাজার ১৬ জন।
২৭ ডিসেম্বরেও ৫০০-র বেশি ছিল দৈনিক সংক্রমণ। ২ সপ্তাহের মধ্যে তা প্রায় ২৫ হাজারের দোরগোড়ায়। দৈনিক গ্রাফ লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, ২৭ ডিসেম্বর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩৯ জন। ৩১ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৫১ জন। ৩ জানুয়ারি ৬,০৭৮ আর ৬ জানুয়ারি ১৫ হাজার ৪২১। ৯ জানুয়ারি কোভিড কালের সর্বোচ্চ সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্য স্বাস্থ্য দফত ২৪,২৮৭ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বটে, তবে তা পরীক্ষা কমার সৌজন্যেই।