Omicron Surge in India: ‘৯০ গুণ বেশি হতে পারে আসল আক্রান্তের সংখ্যা’, চাঞ্চল্যকর দাবি ওমিক্রন ঘিরে!
Omicron Variant in India: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলার পর তা ধীরে ধীরে দেশ তথা গোটা বিশ্বে ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্টের আকার ধারণ করেছিল। বর্তমানে ডেল্টাকে সরিয়ে ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে রূপান্তরিত হচ্ছে ওমিক্রন।
নয়া দিল্লি: দেশে দৈনিক করোনা (COVID-19)আক্রান্তের সংখ্যা ফের একবার লাখের গণ্ডি পার করেছে। দেশে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় সাড়ে চার হাজার। সংক্রমণের গতি নিয়ে যখন উদ্বেগে গোটা বিশ্ব, তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন কেন্দ্রের এক শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ, যা সংক্ষেপে আইসিএমআর (ICMR) নামে পরিচিত, তার সায়েন্টেফিক অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারপার্সন ডঃ জয়প্রকাশ মুলীয়ীল (Jaiprakash Muliyil) দাবি করেন, বর্তমানে যে সংখ্যক করোনা বা ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, তা আসল আক্রান্তের সংখ্যার ধারেকাছেও নেই। দেশে আসল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯০ গুণ বেশি হতে পারে।
এবার দাপট দেখাবে ওমিক্রনই:
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (Delta Variant) খোঁজ মেলার পর তা ধীরে ধীরে দেশ তথা গোটা বিশ্বে “ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট” (Dominant Variant)-র আকার ধারণ করেছিল। বর্তমানে ডেল্টাকে সরিয়ে ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে রূপান্তরিত হচ্ছে ওমিক্রন। এই বিষয়ে ডঃ জয়প্রকাশ বলেন, “ডেল্টার ঢেউয়ের পর বর্তমানের সংক্রমণ বৃদ্ধি ওমিক্রনের জন্যই হচ্ছে। পরীক্ষাই করানো হোক বা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তবে সংক্রমণের এই রেখা নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
পরীক্ষা ছাড়াই কীভাবে বোঝা যাবে ওমিক্রনের বিস্তার?
করোনা পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই, এই বিষয়েও সহমত পোষণ করেন ডঃ জয়প্রকাশ। তিনি বলেন, “শরীরে ভাইরাস প্রবেশের দু’দিনের মধ্যেই ভাইরাস দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই করোনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ার আগেই, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করলেও, তাতে আমরা পিছিয়েই থাকব।”
তবে করোনা পরীক্ষা বা আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা না থাকলে, ওমিক্রনের আসল ব্যপ্তি সম্পর্কে কীভাবে জানা যাবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে আমরা সংক্রমণের সঙ্গেই বাস করতে শিখে গিয়েছি। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, যা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই সময়ও সংক্রমণের আসল বিস্তার সম্পর্কে জানতে আক্রান্তের সংখ্যাকে ৩০ দিয়ে গুণ করা হত, আসল আক্রান্তের সংখ্যা জানতে। কারণ ছোট স্তরে আক্রান্ত থেকে শুরু করে তাদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাদ পড়ে যায়। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক স্তরে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, আসল আক্রান্তের সংখ্যা জানতে তা বর্তমান আক্রান্তের ৬০ থেকে ৯০ গুণ বেশি বলেই ধরা হচ্ছে।
লকডাউনে ‘না’ বিশেষজ্ঞদের:
সংক্রমণ রুখতে ফের কঠোর লকডাউন প্রয়োজন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে আইসিএমআরের বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমরা দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে বন্দি হয়ে বসে থাকতে পারব না। তাছাড়া এটাও মনে রাখতে হবে যে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন সংক্রমণ অতটা গুরুতর আকার ধারণ করছে না।”