Corona XBB Variant: করোনার নয়া XBB ভ্যারিয়েন্ট হাজির বাংলাতেও, ভারতে আক্রান্ত ৭১ জন

Corona XBB Variant: মূলত সিঙ্গাপুরে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ অনেকটাই বেশি। নভেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Corona XBB Variant: করোনার নয়া XBB ভ্যারিয়েন্ট হাজির বাংলাতেও, ভারতে আক্রান্ত ৭১ জন
করোনা সংক্রমণ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2022 | 1:51 PM

নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় গোটা বিশ্ব জুড়ে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। মানুষ যখন মাস্ক ছাড়া নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেছেন, তখনই ফের নতুন আতঙ্কের খবর। হাজির হয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন। ভারতেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ভারতে সেই সংখ্যা এখনও উদ্বেগের কারণ না হলেও সিঙ্গাপুরে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হু হু করে সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘এক্সবিবি’। সিঙ্গাপুরেই মূলত এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার এই নতুন ঢেউ চরমে পৌঁছবে। দিনে ১৫ হাজার আক্রান্তের খোঁজ মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন সে দেশের চিকিৎসকেরা। করোনার এই ঢেউ ছোট হলেও দ্রুত বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘এক্সবিবি’ ভ্যারিয়েন্ট শুধু সিঙ্গাপুরে নয়, ভারতেও একাধিক রাজ্যে ধরা পড়েছে। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। গত কয়েকদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন। ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রে এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে বাংলায় ১৭ জন এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আতঙ্কের কারণ নেই, তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। গত জুলাই মাসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ৮০০ জন। এরপর গত এক মাসে সংক্রমণ বেড়েছে অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ‘এক্সবিবি’ স্ট্রেনই এই সংক্রমণের মূল কারণ। জানা যাচ্ছে, আগের স্ট্রেনগুলির তুলনায় এটির ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি। গত ১৪ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮৭। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬২ জন। ৪৪ জনের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছিল। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৩ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৪ শতাংশের নমুনাতেই মিলেছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট।