Corona Outbreak: করোনায় স্বস্তি ফিরছে দেশে! ৫৩৮ দিন পর সবথেকে কম সংক্রমণ আজ
Corona Outbreak: ৫৩৮ দিন পর আজ সবথেকে কম দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২০২০-র মার্চ মাসের পর এই প্রথমবার সংক্রমণ এতটা কমল। টিকাকরণই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়া দিল্লি : গত বছরের শুরুর দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ শুরু হয়। প্রথম ঢেউ পেরিয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর চেহারার সাক্ষী থেকেছে ভারত। এবার অবশেষে কমতে শুরু করেছে সেই সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৮৮। ৫৩৮ দিন পর প্রথম এত কম সংক্রমণ দেখল ভারত। ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৪৩। এই সংখ্যাটা ৫৩৪ দিন সর্বনিম্ন।
গত ৪৫ দিন ধরে একটু একটু করে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ৪৫ দিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে, আর গত ১৩৮ দিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে রয়েছে। মোট সংক্রমণের তুলনায় সক্রিয় রোগীর হার ০.৩৪ শতাংশ, যা গত বছরের মার্চের পর সবথেকে কমেছে। বেড়েছে সুস্থতার হার। গত বছরের মার্চের পর এই প্রথম সুস্থতার হার ৯৮.৩১ শতাংশ।
চলতি বছর থেকে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে দেশে। ইতিমধ্যেই টিকাকরণে ১১৫ কোটি মাইলস্টোন পার করেছে কেন্দ্র। দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে সেই কাজ। এখনও যাদের টিকাকরণ হয়নি, তাঁদের দ্রুত টিকা দিতে পদক্ষেপ করছে মোদী সরকার। অতিমধ্যে হর ঘর দস্তক নামে এক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাড় বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার উদ্য়োগ নিয়েছে কেন্দ্র।
চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। তবে কোনও কোনও রাজ্যে বড় বাধা হয়ে উঠছে টিকাকরণের ধীরগতিই। যে রাজ্যগুলিতে টিকাকরণের হার কম, তাদের নিয়ে সোমবার বিশেষ বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মণিপুর (Manipur), মেঘালয়(Meghalaya), নাগাল্যান্ড (Nagaland) ও পুদুচেরী(Puducherry)-তে করোনা টিকার প্রথম ডোজ়ের হারই কম। যেখানে বাকি রাজ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন, সেখানে এই রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে ৭০ শতাংশেরও কম মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজ় প্রাপ্তদের সংখ্যা আরও কম।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ডোজ় নিলেও অনেকের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ় নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। দেশে প্রায় ১২ কোটিরও বেশি মানুষ নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও, এখনও করোনা টিকা নেননি। এখনও অবধি দেশে মোট ১১৬.৫০ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের মোট জনগণের ৪৩ শতাংশ করোনা টিকার দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন, ৮২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কেবল একটি ডোজ় পেয়েছেন। বছর শেষের আগে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে এক মাসের মধ্যে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা টিকা দিতে হবে।