CPIM on Religion: কমরেডদের ‘ধর্মীয় বিশ্বাস’ থাকলে আপত্তি নেই দলের! লেনিনের প্রসঙ্গ টেনে সাফ জানালেন সিপিআইএম নেতা
CPIM: বালাকৃষ্ণানের অভিযোগ, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসীদের সিপিআইএম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
তিরুবনন্তপুরম: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কী সিপিআইএমে আদর্শে বদল ঘটছে? যে সিপিআইএম দলীয় স্তরে ধর্মাচারণের বিরোধিতা করত বলেই সকলেই জানেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই সিপিআইএমই কী নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান বদল করছে? কেরল সিপিআইএম সম্পাদকের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এই প্রশ্নই উঠে গেল। দেশে একমাত্র কেরলেই সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বাম সরকার রয়েছে। কেরল সিপিআইএম জানিয়েছে, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে দলের কোনও আপত্তি নেই। এমনকি যেসব দলীয় কর্মীরা ধর্মে বিশ্বাস করেন তাঁরা ধর্মীয় স্থান বা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেও দলের কোনও আপত্তি নেই।
“কোনও ভাবনা বা বিশ্বাসের বিরোধী নয় সিপিআইএম। যাঁরা ধর্ম বিশ্বাস করে বা পালন করে তাদের সদস্যপদ দেওয়া উচিৎ নয় এই কথা দলীয় গঠনতন্ত্রের কোথাও বলা নেই। লেনিন ও একবার বলেছিলেন পুরোহিতরাও কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিতে পারেন।” রবিবার রাতে কোঝিকোড়ে দলের জেলা সম্মলনে এমনটাই জানিয়েছেন কেরল সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়েরি বালাকৃষ্ণান।
বালাকৃষ্ণানের অভিযোগ, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসীদের সিপিআইএম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। সিপিআইএম ধর্ম বিরোধী এবং নাস্তিকদের দল বলেও অপপ্রচার করেন অনেকে। কেরলের প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন সমস্থ কেরল জামায়ত উলামা সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা রাজ্যের শাসক দলের হাত ধরতে আগ্রহী। সেই আবহে খোদ রাজ্য সম্পাদকের মতো দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কেরলের রাজনৈতিক মহল।
বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতীয় রাজনীতিতে অনেক বদল হয়েছে। মুখে প্রগতিশীল বলে নিজেদের দাবি করলেও কার্যক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন করতে পারেনি সিপিআইএম। তাই ক্রমশ দেশের রাজনীতিতে তাঁরা গুরুত্ব হারাচ্ছে। বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। বিজেপির মত দলে প্রকাশ্যেই হিন্দু ধর্ম নিয়ে সরব হতে দেখা যায়। অন্যান্য ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদেরও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। সেখানে প্রতিযোগীতা থেকে পিছিয়ে পরেই সিপিআইএমের এই বোধদয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। আগামী দিনে ধর্মীয় বিশ্বাস ও দলীয় ক্যাডারদের ধর্মাচারণ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে কোনও বার্তা আসে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।