Mahua Moitra: ‘মহুয়া মৈত্র ICU-তে’, বাংলো খালি করা নিয়ে রায় জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী জানান, বর্তমানে মহুয়া মৈত্র দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি আইসিইউ-তে রয়েছেন। তাঁর দিল্লিতে আলাদা কোনও ঘর নেই। এই পরিস্থিতিতে একাকী মহিলা হিসাবে তাঁকে ঘরচ্যুত না করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান মহুয়ার আইনজীবী।
নয়া দিল্লি: আদালতেও রেহাই মিলল না। অবিলম্বে সরকারি বাংলো খালি করার ব্যাপারে মহুয়া মৈত্রকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটস (DoE)। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়েই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু, বৃহস্পতিবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। এদিকে, মহুয়া মৈত্র বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি বলে আদালতে জানিয়েছেন তাঁর কৌঁসুলী। এবার তৃণমূল নেত্রী কী করবেন, কোথায় যাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আদালত সূত্রে খবর, এদিন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি গিরীশ কাঠপালিয়ার বেঞ্চে মহুয়া মৈত্রের বাংলো খালি করার নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদনের মামলাটি ওঠে। যদিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল নেত্রী। তাঁর আইনজীবী জানান, বর্তমানে মহুয়া মৈত্র দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি আইসিইউ-তে রয়েছেন। তাঁর দিল্লিতে আলাদা কোনও ঘর নেই। এই পরিস্থিতিতে একাকী মহিলা হিসাবে তাঁকে ঘরচ্যুত না করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান মহুয়ার আইনজীবী। চার মাস সময় চেয়েছেন মহুয়া। এমনকি প্রয়োজনে ওই বাংলোর ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও আবেদনপত্রে জানিয়েছিলেন তিনি।
যদিও সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সাংসদ কোটায় প্রাপ্ত সরকারি বাংলো রাখার ব্যাপারে আদালতের রায় দেওয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট বিধি নেই জানিয়ে মহুয়া মৈত্রর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গিরীশ কাঠপালিয়া। একইসঙ্গে মহুয়া মৈত্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, “কেন ৪ মাস সময় চাওয়া হল? ৩ দিন কেন নয়?” ৩-৪ দিন বা এক সপ্তাহ সময় চাইলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেত বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই সরকারি বাংলোটি খালি করার জন্য তাঁকে নোটিস দেয় ডিওই। প্রথম নোটিসে ৭ জানুয়ারির পর্যন্ত তাঁকে সময় দেওয়া হয়। এই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যে আরও দু-বার বাংলো খালি করার নোটিস পাঠায় কেন্দ্র। গত মঙ্গলবারই মহুয়াকে অবিলম্বে বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিসের পর এদিনই দিল্লি হাইকোর্টে যান মহুয়া।