‘সরকার জীবনের পরোয়া করে না’, অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা হাইকোর্টের

"সরকার বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে কীভাবে এতটা উদাসীন? অক্সিজেনের অভাবে মানুষ এভাবে মারা যাবেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না।"

'সরকার জীবনের পরোয়া করে না', অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা হাইকোর্টের
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2021 | 9:41 PM

নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার কি মানুষের জীবনের পরোয়া করে না? রাজধানীতে লাগাতার বাড়তে থাকা অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে একাধিক গুরুতর প্রশ্ন তুলে এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট। “অক্সিজেনের অভাবে জনগণের হাহাকার দেখতে পেয়েও সরকার কেন বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করতে চাইছে না?” এই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করেন বিচারপতি।

এক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে করা অক্সিজেনের অভাব সংক্রান্ত মামলায় সাড়া দিয়ে শুনানি চলাকালীন এ দিন বিচারপতি বলেন, “সরকার বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে কীভাবে এতটা উদাসীন? অক্সিজেনের অভাবে মানুষ এভাবে মারা যাবেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এই জরুরি অবস্থা পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে মানুষের জীবনের পরোয়া সরকার করে না।”

আদালতে যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলা দেখে তারা ‘অবাক’ হয়েছেন। পালটা বিচারপতি বলেন, “এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাস্তব পরিস্থিতি জানা উচিত আপনাদের। গতকাল আমরা বলেছিলাম পেট্রোলিয়াম এবং স্টিল শিল্পে যে অক্সিজেন ব্যবহার হয় তার ব্যবস্থা করুন। আপনারা কী করেছেন?”

আরও পড়ুন: শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে সম্ভব নয় কেন? ডেরেককে চিঠি দিয়ে জানাল কমিশন

জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেই সংক্রান্ত কাজ কাগজে কলমে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের জবাবের তোয়াক্কা না করে পালটা বিচারপতি বলেন, “তাতে লাভটা কী হল? ফাইলের কাজ কতটা এগিয়েছে সে সব নিয়ে আমরা ভাবিত নই। শিল্পক্ষেত্রগুলি সাহায্য করতে প্রস্তুত। আপনাদের নিজেদের অধীনে পেট্রোলিয়াম সংস্থা রয়েছে। বায়ুসেনা রয়েছে। আমরা গতকাল একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলাম। আপনারা করেছেনটা কী!”

আদালত আরও জানায়, “হাসপাতালগুলিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। তাই আমরা যে কোনও উপায়ে বাঁচার মৌলিক অধিকার রক্ষা করার নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিচ্ছি। প্রয়োজনে শিল্পের জন্য ব্যবহার হওয়া সমস্ত অক্সিজেন ব্যবহার করা হোক।”

আরও পড়ুন: বঙ্গে করোনার রেকর্ড, প্রথমবার ১০ হাজার পেরল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত ৫৮