Murder Case: মাকে কাচ দিয়ে মারতে এল বাবা, আটকাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়ের
New Delhi: অভিযুক্ত ব্য়ক্তির ভাই রোশন লাল জানিয়েছেন, তাঁর দাদা ভীমসেন কোনও কাজ করত না। নিয়মিত মদ খেত। মদ খাওয়া নিয়েই প্রায়শই ঝামেলা হত বলে জানিয়েছেন তিনি।
নয়াদিল্লি: মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করছিল বাবা। সেই বচসা থেকে মাকে মারতে উদ্যত হয় বাবা। জানলার ভাঙা কাচ নিয়ে মাকে মারতে এসেছিল বাবা। তা দেখে বাবাকে আটকানোর চেষ্টা করেন তিন মেয়ে। সে সময়ই বাবার মারে আহত হয় তিন মেয়ে। সেই সঙ্গে তাঁদের মা-ও আহত রয়েছেন। এই মারের জেরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বয়স ১৮ বছর। অভিযুক্ত ব্যক্তির দুই মেয়ে ও স্ত্রী আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাওয়াল নগরের বাসিন্দা ভীমসেন। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তির তিন মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বসয় ২৩ বছর, মেজ মেয়ের বয়স ২১ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল ওই ব্যক্তির। সে সময়ই কাচের টুকরো দিয়ে স্ত্রীকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন ভীমসেন। তা দেখেই আটকাতে আসেন মেয়েরা। সে সময়ই কাচের আঘাতে আহত হন তাঁরা। এর মধ্যে ছোট মেয়ের পেটে আঘাত লেগেছিল। বাকিদের হাতেস বুকে আঘাত লাগে। এর পরই ঘটনার পর থেকে পালিয়েছিল অভিযুক্ত। এক আত্মীয় আহত মা-মেয়েদের হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির ছোট মেয়ের। বাকিদের চিকিৎসা করিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্য়ক্তির ভাই রোশন লাল জানিয়েছেন, তাঁর দাদা ভীমসেন কোনও কাজ করত না। নিয়মিত মদ খেত। মদ খাওয়া নিয়েই প্রায়শই ঝামেলা হত বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে তাঁর দাদা অটো চালাতেন। কিন্তু লকডাউনে বন্ধ হয় সেই কাজ। এর পর দাদা-বৌদি এক সঙ্গে সব্জি বিক্রি করা শুরু করেন। এর পরই তাঁদের বড় মেয়ে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি পান। এর পরই কাজ করা বন্ধ করে দেন অভিযুক্ত। নিয়মিত মদ খাওয়া নিয়ে ঝামেলা হলেও এ রকম ঘটনা আগে কোনও দিন ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রোশনলাল।