Shraddha Walker Murder Case: মাংস সংরক্ষণ, ছুরি চালাতে ওস্তাদ আফতাব! শেফের প্রশিক্ষণই সাহায্য করেছিল শ্রদ্ধার দেহ লোপাট করতে
Aftab Ameen Poonawalla: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড মামলায় আদালতে দিল্লি পুলিশ জানায়, আফতাব একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফ। তাই তাঁর যেমন মাংস কাটার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তেমনই কীভাবে দেহ থেকে মাংস আলাদা করা, তার সংরক্ষণ করা সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শেফ, তাই শ্রদ্ধার (shraddha Walker) দেহ টুকরো টুকরো করতে অসুবিধা হয়নি প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Ameen Poonawalla)। মঙ্গলবার দিল্লির সেশন কোর্টে এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। গত বছর গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড ঘিরে। সামান্য বচসার কারণে লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করে প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এরপরে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে সে। দেহ সংরক্ষণের জন্য় পরেরদিনই কিনে আনে ফ্রিজ, সেই ফ্রিজেই রাখা ছিল শ্রদ্ধার দেহ। পরপর ১৮ দিন ধরে দিল্লির মেহেরৌলির জঙ্গল ও আশেপাশের এলাকায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ফেলে আসে আফতাব। মে মাসে খুন করলেও শ্রদ্ধার হত্য়াকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসে গত অক্টোবরের শেষভাগে। এরপরই আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে লিখিত বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশের তরফে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড ও তাতে অভিযুক্ত আফতাব সম্পর্কে চাঞ্চল্য়কর একাধিক তথ্য জানানো হল।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড মামলায় আদালতে দিল্লি পুলিশ জানায়, আফতাব একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফ। তাই তাঁর যেমন মাংস কাটার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তেমনই কীভাবে দেহ থেকে মাংস আলাদা করা, তার সংরক্ষণ করা সম্পর্কেও ধারণা রয়েছে। ছুরির ব্যবহারেও অত্যন্ত পটু আফতাব। কীভাবে মাংস কাটার জন্য় ব্যবহৃত ছুরি পরিষ্কার করতে হয়, তাও ভালভাবে জানে আফতাব। তাঁর বাড়ি থেকে যে ছুরিগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তার থেকে রক্তের দাগ যেভাবে মুছে ফেলেছিল আফতাব, তাতেই তাঁর জ্ঞানের আন্দাজ করা গিয়েছে।
পুলিশের তরফে লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “খুনের প্রায় ৬ মাস পরে ঘটনাটি সামনে আসে, সেই কারণে অপরাধের অধিকাংশ প্রমাণই নষ্ট করে হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে গোটা মামলাটিই পরিস্থিতিগত প্রমাণ ও অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত যুক্তি একদিকেই নির্দেশ করে যে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা অপরাধ করেছে।”
আফতাব ও শ্রদ্ধার সম্পর্কও অত্যন্ত জটিল ও খুনের ঘটনায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আফতাব ও শ্রদ্ধা লিভ-ই সম্পর্কে থাকলেও, তারা নিজেদের বিবাহিত বলেই পরিচয় দিত। তবে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে তাঁদের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয় এবং আফতাব প্রায়সময়ই শ্রদ্ধাকে মারধর, শারীরিক অত্যাচার করত। শারীরিক নিগ্রহ নিয়ে পুলিশেও অভিযোগ করে শ্রদ্ধা। তাঁকে বেশ কয়েকবার চিকিৎসকের দ্বারস্থও হতে হয়েছিল।