Delhi Schools: মারামারি করলেই কি আলাদা স্কুলে? দুষ্টু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব দিল শিক্ষক সংগঠন
Delhi teachers: "মারকুটে এবং অপরাধপ্রবণ" শিক্ষার্থীদের জন্য "বিশেষ স্কুল" স্থাপন করার আহ্বান জানাল দিল্লির গভর্নমেন্ট স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা জিএসটিএ।
নয়া দিল্লি: “মারকুটে এবং অপরাধপ্রবণ” শিক্ষার্থীদের জন্য “বিশেষ স্কুল” স্থাপন করার আহ্বান জানাল দিল্লির গভর্নমেন্ট স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা জিএসটিএ। গত দুই সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে স্কুলের ভিতর পরপর দুটি ঘটনায় শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের হেনস্থা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপরই স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের জন্য উচ্চতর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে দাবি করছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা।
প্রথমে নন্দ নগরী স্কুলে এক ছাত্রের আত্মীয়রা একজন শিক্ষককে নিগ্রহ করেছিল। ওই ঘটনার পর, জিএসটিএ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার সঙ্গে দেখা করেছিল। তাঁরা একটি স্মারকলিপিও পেশ করেছিলেন। সেই স্মারকলিপিতে, স্কুল প্রাঙ্গনে স্কুলকর্মীদের উপর হামলার ঘটনাকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বিষয়ে আইন প্রণয়ণের দাবি জানানো হয়েছিল। এরপর গত বুধবার তিলক নগর স্কুলে এক ছাত্র স্কুলে এক নিরাপত্তারক্ষীর উপর হামলার চালায়। তিলক নগরের ঘটনার পর, শিক্ষক সংগঠনটির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে আরও একটি চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে একাধিক পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলির মধ্যেই একটি হল, মারকুটে ও অপরাধপ্রবণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয়ের স্থাপন করা।
কেজরীবালকে লেখা চিঠিতে শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “কিছু কিছু শিক্ষার্থী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বা অন্যদের তুলনায় তাদের হিংসায় প্ররোচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এই সত্যের দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। এই সত্যটি স্বীকার করে, আমাদের অবশ্যই তাদের অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের শিকার না হয়, নিগৃহীত না হয় বা প্রভাবিত না হয়। এটি স্কুল প্রাঙ্গনে শিক্ষকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে। স্কুল অব এক্সেলেন্সের মতো, প্রতিটি জেলার এই বিশেষ স্কুলগুলিকে এই দুর্বল শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য মনোনীত করা উচিত। আমরা সংস্কারে বিশ্বাস করি, এই বিচ্ছিনতা কোন শাস্তি নয় বরং তাদের সমস্যাগুলিকে আরও ভালভাবে বোঝার, সেগুলির সমাধান করার এবং স্কুলের অভ্যন্তরে হিংসার সম্ভাবনা কমানোর একটি সুযোগ।”
“মারকুটে এবং অপরাধপ্রবণ” শিক্ষার্থীদের জন্য “বিশেষ স্কুল” স্থাপনের পাশাপাশি শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্কুলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আরও বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্কুল চলাকালীন স্কুল প্রাঙ্গনে একজন পুলিশ সদস্য রাখার কথা সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে নিরাপত্তা রক্ষীদের সংখ্যা “তিনগুণ বৃদ্ধি” রার সুপারিশও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২,৫০০ জবের মধ্যে সীমাবদ্ধ করার অনুরোধ করা হয়েছে।