Presidential Election: লাগবে ইকোনমি ক্লাসের ফ্রন্ট রো, ‘মিস্টার ব্যালট বক্স’-এর নামে বিমানের টিকিট কাটল নির্বাচন কমিশন!

Presidential Election: মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ১৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যালট বাক্স পাঠিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। এর জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে টিকিট কাটা হল 'মিস্টার ব্যালট বক্স'এর নামে।

Presidential Election: লাগবে ইকোনমি ক্লাসের ফ্রন্ট রো, 'মিস্টার ব্যালট বক্স'-এর নামে বিমানের টিকিট কাটল নির্বাচন কমিশন!
১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উড়ে গেলেন 'মিস্টার ব্যালট বক্স'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 7:00 PM

নয়া দিল্লি:  মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে এক অস্বাভাবিক অনুরোধ জানিয়ে ফোন এসেছিল ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের দফতরে। সন্ধ্যার দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় উড়ানে সওয়ার হবেন, ‘মিস্টার ব্যালট বক্স’। আর তার জন্যই লাগবে বিমানের টিকিট। তবে শুধু ভিস্তারা নয়, মঙ্গলবার দুপুরে একই রকম অনুরোধ আসে আরও বেশ কয়েকটি উড়ান সংস্থার কাছে। কোনও বিমান যাবে বেঙ্গালুরু, কোনওটি হায়দরাবাদ, কোনওটি গুয়াহাটি কিংবা পুদুচেরি। আর এই সবগুলি বিমানেই যাত্রী হবেন একজনই, ‘মিস্টার ব্যালট বক্স’!

কে এই মিস্টার ব্যালট বক্স? বোঝাই যাচ্ছে কোনও ব্যক্তি নয়। এগুলি হল আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যালট বাক্স। আগামী ১৮ জুলাই রাজ্যে রাজ্যে সাংসদ-বিধায়কদের মত গ্রহণ করা হবে এই ব্যালট বাক্সগুলিতে। তার জন্য এদিন ভারতের নির্বাচন কমিশন মোট ১৪টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যালট বাক্স পাঠিয়ে দিল। নয়াদিল্লি থেকে রাজ্য-স্তরের নির্বাচন অফিসাররা ব্যালট বাক্সগুলি নিয়ে উড়ানে পাড়ি দিচ্ছেন। এদিন বিকাল ৫টা ১০-এ ব্যালট বহনকারী প্রথম উড়ানটি নয়া দিল্লি থেকে উড়ে যাহে চণ্ডীগঢ়ের উদ্দেশে।

এর আগে অবশ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যালট বাক্সের এত কদর ছিল না। নির্বাচন কর্তারা হ্যান্ড ব্যাগেজ হিসেবেই উড়ানে অন্যান্য রাজ্যে ব্যালট বাক্স নিয়ে যেতেন। তবে, গত কয়েক বছর ধরে প্রতিটি ব্যালট বাক্সের জন্যই দ্বিমুখী উড়ান টিকিট বুক করা শুরু করেছে। ‘মিস্টার ব্যালট বক্স’–এর বিজনেস ক্লাসের টিকিট লাগে না, ইকোনমি ক্লাসেই সে স্বচ্ছন্দ। তবে তার লাগে একেবারে সামনের সারির আসন। না, লেগ স্পেস অর্থাৎ পা ছড়ানোর জায়গা বেশি থাকে বলে নয়। নির্বাচনী কর্তারা জানিয়েছেন, ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রথম সারির আসন লাগে। ধাতব বাক্সগুলিকে কাঠের বাক্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিস্টার ব্যালট বাক্সের পাশের আসনগুলিতে থাকেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। তাঁরাই ব্যালট পেপার এবং বিশেষ কলমও নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিন কমিশন বলেছে, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যালট বাক্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোনও সাধারণ বাক্স নয়। এটি বৃহত্তম গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তাই এই বাক্সগুলির পরিবহন, সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়াটির সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে ব্যালট বাক্সের পৌঁছনোর আকর্ষণীয় যাত্রা জড়িয়ে থাকে। পরিবহনের সময়, ব্যালট বাক্সগুলি বিমানের সামনের সারিতে বসা অফিসারদের পাশের আসনে  ‘মিস্টার ব্যালট বক্স’ নামে বুক করা একটি পৃথক বিমানের টিকিট নিয়ে উড়ে যায়।’

আগামী, ১৮ জুলাই সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধায়করা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট দেবেন। ভোটদানের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ফিরিয়ে আনতে হবে ব্যালট বাক্সগুলি। কারণ ২১ জুলাই হবে ভোট গণনা। ওই দিন ‘মিস্টার ব্যালট বাক্স’ই বলে দেবে রাষ্ট্রপতি ভবনের পরবর্তী বাসিন্দা কে হবেন – দ্রৌপদী মুর্মু না যশবন্ত সিনহা।