National Emblem Controversy: ‘অনুপাত এবং দৃষ্টিকোণের তফাৎ’, জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিতর্কের জবাব দিল কেন্দ্র

National Emblem Controversy: সোমবার, নয়া সংসদ ভবনের ছাদে ৬.৫ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রোঞ্জের তৈরি অশোক স্তম্ভের উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরদিনই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মঙ্গলবার এর জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি।

National Emblem Controversy: 'অনুপাত এবং দৃষ্টিকোণের তফাৎ', জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিতর্কের জবাব দিল কেন্দ্র
জাতীয় প্রতীক নিয়ে একের পর এক টুইট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 8:13 PM

নতুন দিল্লি: সোমবার, নয়া সংসদ ভবনের ছাদে ৬.৫ মিটার দীর্ঘ একটি বিশালাকার ব্রোঞ্জের তৈরি অশোক স্তম্ভের উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপাদান থেকে, নকশা এবং নির্মাণ পদ্ধতি অনুযায়ী এই নয়া ভাষ্কর্যটি অনন্য। তবে, একদিন যেতে না যেতেই জাতীয় প্রতীকের এই ভাষ্কর্যটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই বিতর্কের জবাব দিলেন। তাঁর দাবি সারনাথের মূল অশোক স্তম্ভ এবং সংসদ ভবনের ছাদে যে জাতীয় প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে, দুটির মধ্যে আকারের পার্থক্য ছাড়া আর কোনও তফাতই নেই।

এদিন, এই বিতর্কের বিষয়ে একাধিক টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি। তাঁর দাবি, দুটি অশোক স্তম্ভের মধ্যে অনুপাত ও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে। এই কারণেই দুটি ভাষ্কর্য আলাদা বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিষয় নিয়ে অযাচিত বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘বলা হয়, সৌন্দর্য নির্ভর করে দর্শকের চোখের উপর। শান্ত এবং রাগান্বিত হওয়ার ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।’ দর্শকরা দেখতে চাইছেন বলেই, নয়া সংসদ ভবনের ছাদে স্থাপিত অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি রাগান্বিত ভঙ্গিমায় আছে বলে মনে হচ্ছে তাঁদের।

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি দুটি ভাষ্কর্যের মধ্যে পরিমাপের তফাত রয়েছে বলেও দুটি প্রতীকের আলাদা বলে মনে হচ্ছে। সারনাথের অশোক স্তম্ভটি ১.৬ মিটার দীর্ঘ। নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত প্রতীকটি ৬.৫ মিটার উঁচু। মূল অশোক স্তম্ভটির হুবহু প্রতিরূপ যদি নতুন সংসদ ভবনের উপর স্থাপন করা হতো, তাহলে কেউই নিচ থেকে সেটি দেখতে পেতেন না। এই কারণেই বিশালাকার জাতীয় প্রতীকটি তৈরি করা হয়েছে। এই কারণেই, কেউ কেউ মনে করছেন সংসদ ভবনে স্থাপিত জাতীয় প্রতীকটির সিংহগুলির ভঙ্গিমা সারনাথের অশোক স্তম্ভের থেকে আলাদা।

তাঁর আরও দাবি, আকারের পাশাপাশি দর্শকরা কোন অবস্থান থেকে ভাষ্কর্যদুটি দেখছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। সারনাথে স্থাপিত মূল অশোক স্তম্ভটি মাটিতে রয়েছে। অর্থাৎ, দর্শকরা সেই ভাষ্কর্যটি দেখেন একেবারে চোখের সোজাসুজি স্তর থেকে। অন্যদিকে, নতুন প্রতীকটি স্থাপন করা হয়েছে মাটি থেকে ৩৩ মিটার উঁচুতে। দর্শকরা এটি দেখছেন নিচ থেকে। সেই কারণেই একটি ভাষ্কর্যের সিংহগুলিতে রাগান্বিত এবং অন্য ভাষ্কর্যের সিংহগুলিকে শান্ত বলে মনে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, যদি কেউ নিচ থেকে সারনাথের প্রতীকটিকে দেখেন, তবে ওই প্রতীকের সিংহগুলিকে রাগান্বিত বলে মনে হতে পারে।

হরদীপ সিং পুরি বলেন, ‘দুটি কাঠামোর তুলনা করার সময় কোন কোণ, কোন উচ্চতা থেকে দেখা হচ্ছে এবং দুটির আকারের প্রভাব মাথায় রাখা দরকার। সারনাথের প্রতীকটিকে আকারে বাড়ানো হলে বা সংসদের নয়া ভবনের প্রতীকটিকে ওই আকারে ছোট করে দিলে দুটির মধ্যে কোনও পার্থক্যই থাকবে না।’