তেজস্বীর ভোট কারচুপির অভিযোগ খারজি নির্বাচন কমিশনের, স্রেফ এক আসনে পুনর্গণনা, ফল অপরিবর্তিত
আরজেডি নেতা তেজস্বী অভিযোগ করেন, যেখানে যেখানে মহাজোটের প্রার্থীরা খুব অল্প ব্যবধানে হেরেছেন, সেখানে সেখানেই অনেক পোস্টাল ব্যালট বাতিল হয়েছে এবং কী কারণে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ২৪৩-এ এনডিএ (NDA) ১২৫, মহাজোট ১১। ফারাক স্রেফ ১৪ আসনের। যার মধ্যে এমন ১১টি আসন রয়েছে যেখানে মহাজোটের প্রার্থীরা হেরেছেন এক হাজারেরও কম ভোটে। এই সব আসনেই গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আরজেডি (RJD) নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সাফ জানিয়ে দিল, নিয়ম মেনেই গণনা হয়েছে। কোথাও কোনওরকম কারচুপি হয়নি। কেবল একটি আসনেই পুনঃগণনা হয়েছে এবং সেটিও নিয়ম মেনেই।
বিহারের (Bihar) হিলসা (Hilsa) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আরতি মুনি হেরেছেন মাত্র ১২ ভোটে। বাতিল হওয়া ব্যালটের থেকে জয়ের এই ব্যবধান ছিল অনেকটাই কম। সেকারণেই এখানে পুনঃগণনা হয়েছে। যদিও তাতে ফলের কোনও হেরফের হয়নি। বিহারে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার এইচ আর শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, “হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী (আরতি মুনি) ইভিএম এবং ব্যালটের পুনঃগণনার দাবি জানিয়েছিলেন। প্রথমে রিটার্নিং অফিসার তাঁর এই আবেদন নাকচ করে দিলেও পরে প্রতিদ্বন্দ্বীকে সন্তুষ্ট করার জন্য ৫৫১টি পোস্টাল ব্যালট আরও একবার গুনে দেখা হয়। এর মধ্যে বাতিল হওয়া ব্যালটও ছিল। এরপরও ফল অপরিবর্তিতই ছিল।”
বৃহস্পতিবার আরজেডি নেতা তেজস্বী অভিযোগ করেন, যেখানে যেখানে মহাজোটের প্রার্থীরা খুব অল্প ব্যবধানে হেরেছেন, সেখানে সেখানেই অনেক পোস্টাল ব্যালট বাতিল হয়েছে এবং কী কারণে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
বিহারে নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার শ্রীনিবাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের মধ্যে ১১টি আসনে জয়ী ও বিজয়ীর মধ্যে ব্যবধান এক হাজারেরও কম। হিলসা, বারবিঘা, রামগড়, মাটিহানি, ভোরে, দেহরি, বাছওয়ারা, চাকাই, কুরহানি, বখরি ও পরবট্টা – এই আসনগুলোতেই জয়ের ব্যবধান এক হাজারের কম। এই আসনগুলোর মধ্যে ৪টি আসনে জয় পেয়েছে জেডি(ইউ), ৩টি আসনে জয়ী আরজেডি এবং ১টি করে আসনে জিতেছে বিজেপি, সিপিআই ও এলজিপি। ১টি আসন জিতেছে নির্দল প্রার্থী।
Press Briefing of Election Commission of India. #BiharAssemblyElection2020. https://t.co/bYMdV2Bd6Z
— Election Commission of India #SVEEP (@ECISVEEP) November 10, 2020
হিলসা সহ আরও একাধিক আসনে হেরে যাওয়া প্রার্থীরা পুনঃগণনার দাবি জানালেও তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও জয়ী প্রার্থীদের সংশাপত্র দেরিতে দেওয়ারও যে অভিযোগ তেজস্বী করেছেন, তার পাল্টা জবাবে শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন, “ইভিএম (EVM) গণনার পর ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনা খুবই ক্লান্তিকর একটি কাজ। অনেকক্ষেত্রেই ইভিএম গণনা শেষ হয়ে গেলেও ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনার কাজ শেষ হতে অনেকটা সময় লেগে যায়। যতক্ষণ না কাজ সম্পূর্ণ হচ্ছে কোনও প্রার্থীকেই জয়ী ঘোষিত করা যায় না। সে কারণেই জয়ী প্রার্থীদের সংশাপত্র দিতে খানিক দেরি হয়েছে।”