সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি কমিটির, তাহলে কিসের পক্ষপাতদুষ্ট! প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

এই কমিটির রায় শোনানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। শুধু মাত্র রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি। তাহলে পক্ষপাতদুষ্টের প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে?

সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি কমিটির, তাহলে কিসের পক্ষপাতদুষ্ট! প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালতে মিলল স্বস্তি
Follow Us:
| Updated on: Jan 20, 2021 | 3:24 PM

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট যে কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির উদ্দেশ্য কৃষকদের সমস্যার কথা শোনা। কোনও সিদ্ধান্ত জানানো নয়। কমিটির সদস্যদের নিজস্ব মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁদের সমাধান প্রক্রিয়ায় তার ছাপ পড়বে না। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তৈরি কমিটি নিয়ে ওঠা প্রশ্নে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের। উল্লেখ্য, কমিটির পুনর্গঠন করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশন জমা পড়ে, এ দিন শুনানিতে কেন্দ্রের জবাব চেয়ে নোটিস জারি করেন প্রধান বিচারপতি।

গত ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন প্রয়োগে রদের সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর সঙ্গে কেন্দ্র এবং কৃষকদের সমস্যা শোনার সমন্বয়কারী হিসাবে একটি কমিটি নিযুক্ত করে শীর্ষ আদালত। ওই কমিটির চার সদস্য, ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের ভূপেন্দ্র সিং মন, কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রমোদ কুমা জোশী, এগ্রিকালচার কস্ট অ্যান্ড প্রাইসের চেয়ারম্যান অশোক গুলাটি ও ক্ষেতকারী সংগঠনের প্রধান অনিল ঘানওয়ান্তের তৈরি রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলি এবং অকালি দল-সহ বিরোধীদের দাবি, এর আগে ৩ কৃষি আইনের সপক্ষে মত পোষণ করেছেন কমিটির ৪ সদস্যরা। তাই যে সে ভাবে শোনা হবে না কৃষকদের সমস্যার কথা।

আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রেবেশ রুখে দিল সেনা, নিকেশ ৩ জঙ্গি

এ দিন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানান, এ ধরনের অভিযোগ সঙ্গত নয়। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। ভূপেন্দর সিং মন তো আইন সংশোধন করার সওয়াল করেছিলেন, কিন্তু আপনারা বলছেন উনি আইনের পক্ষে! বোবদের পর্যবেক্ষণ, কোনও ব্যক্তিকে এভাবে ব্রান্ড তৈরি করা উচিত নয়। স্বনামধন্য বিচারপতিদের ভিন্ন মতামত থাকলেও রায় দেন আইনের পথে। আরও এক বার প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করেন, এই কমিটির রায় শোনানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। শুধু মাত্র রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি। তাহলে পক্ষপাতদুষ্টের প্রশ্ন উঠছে কোথা থেকে?