Farmer: ধোপদুস্তর পোশাক নেই, টিকিট থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধ চাষিকে মেট্রোয় উঠতেই দিল না আধিকারিক!
NHRC: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মাথায় বস্তা নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা ওই কৃষকের ছবি। এরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করা হয়। মানবাধিকার কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "যদি এই ঘটনা সত্য হয়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।"
বেঙ্গালুরু: রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বছরের ৩৬৫ দিন মাঠে খেটে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন তাঁরা। কিন্তু ধোপদুস্তর পোশাক না থাকায়, তাদের নাকি ওঠার অধিকার নেই মেট্রোয়। এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশের প্রযুক্তির হাব বেঙ্গালুরু। এক কৃষককে উঠতে দেওয়া হল না মেট্রোয়। এমন নয় যে তাঁর কাছে টিকিট ছিল না। বরং ধোপদুস্তর পোশাক না পরার কারণেই তাঁকে মেট্রোয় উঠতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাটি সামনে আসতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হল।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর রাজাজিনগর স্টেশনে। এক কৃষক মাথায় বস্তা নিয়ে মেট্রোয় উঠতে যাচ্ছিলেন। গেটেই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। আশেপাশের যাত্রীরাও অবাক হয়ে যান এই ঘটনায়। ওই আধিকারিকের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র বস্তা নিয়ে এসেছেন এবং অপরিচ্ছন্ন পোশাক বলেই কি কৃষককে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না মেট্রোয়? তাঁর কাছে তো টিকিট রয়েছে!
NHRC takes suo motu cognizance of the reported stopping of a farmer from boarding the metro train by an official due to his untidy attire. The Commission observes no one can be denied access to public transport based on his attire. pic.twitter.com/HefTV3nPy5
— NHRC India (@India_NHRC) February 28, 2024
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মাথায় বস্তা নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা ওই কৃষকের ছবি। এরপরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করা হয়। মানবাধিকার কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “যদি এই ঘটনা সত্য হয়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি কী পোশাক পরে রয়েছেন, তার ভিত্তিতে গণপরিবহনে উঠতে বাধা দেওয়া যায় না। যদি কেউ কোনও আপত্তিকর বস্তু নিয়ে ওঠেন, একমাত্র তখনই আইনানুযায়ী তাঁকে বাধা দেওয়া যায়।”
কর্নাটকের মুখ্যসচিব ও বেঙ্গালুরু মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডকে নোটিস পাঠানো হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের তরফে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তাও জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন।