Tomato Harvesting: ৪৫ দিনে লাভ ৫০ লক্ষ টাকা! ‘লাল সোনা’ ফলিয়ে কোটিপতি হওয়ার পথে এই কৃষক
Karnataka: সম্প্রতিই টমেটোর চাহিদা বাড়ায়, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে ভুট্টা-আঙুরের বদলে টমেটো চাষ করবেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্য়েই তিনি ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করেছেন।
বেঙ্গালুরু: সবজির বাজারে যেভাবে আগুন লেগেছে, তাতে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। উল্টোদিকে, সোনায় সোহাগা কৃষক-সবজি বিক্রেতাদের। সম্প্রতিই সেঞ্চুরি পার করেছিল টমেটোর দাম। বর্তমানে দাম ৮০ টাকার কেজি দরে টমেটো বিক্রি হলেও, তা প্রায় নাগালের বাইরেই রয়ে গিয়েছে। এবার টমেটো ফলিয়ে এক মাসের মধ্যেই মালামাল হয়ে গেলেন এক কৃষক। মাত্র ৪৫ দিনেই ওই কৃষক লাভ করেছেন ৫০ লক্ষ টাকা। কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার ওই কৃষক চার একর জমিতে টমেটো চাষ করে এত লাভ করেছেন। যদি এভাবেই মূল্যবৃদ্ধি জারি থাকে, তবে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই আরও ৫০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন বলে আশাবাদী ওই কৃষক।
বিজয়পুরার বাসিন্দা ভীমু বাভসিং লামানি (৪০) নামক ওই কৃষকের চার একর জমি রয়েছে। সেখানে তিনি ভুট্টা, আঙুর ও আখ চাষ করতেন। সম্প্রতিই টমেটোর চাহিদা বাড়ায়, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে ভুট্টা-আঙুরের বদলে টমেটো চাষ করবেন। মাত্র ৪৫ দিনের মধ্য়েই তিনি ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করেছেন।
যে হারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে টমেটোকে ‘লাল সোনা’ বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে। ভীমুর দেখাদেখি বাকি কৃষকরাও ডাল, তামাক, আখ, ভুট্টা, জোয়ার চাষ ছেড়ে টমেটোর ফলন শুরু করেছেন। টমেটো চাষে লাভবান হয়ে ওই কৃষক বলেন, “আগে আমরা গোটা মরশুমে চাষ করে ১ লক্ষ টাকা আয় করতাম। সেখানে টমেটো চাষ করে মাত্র কয়েকদিনেই লাখ টাকা উপার্জন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “কর্নাটকের বেলাগাভি অঞ্চলের বিজয়পুরা, বাগালকোট, চিক্কোদির মতো এলাকাগুলিতে অধিকাংশ সময়ই খরা হয়, কৃষিজমি শুষ্ক। সেই কারণেই ভুট্টা, আঙুর, আখের মতো শস্য চাষ করা হত। কিন্তু টমেটোর মূল্যবৃদ্ধির কারণে শতাধিক কৃষক টমেটো চাষ করা শুরু করেছেন। তিন-চার সপ্তাহেই তাঁরা লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।”