Farooq Abdullah: ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা ফারুকের, এবার ব্যাটন কি ওমরের হাতে?
Farooq Abdullah steps down: ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফারুক আবদুল্লা। ফের দলের রাশ ওমরের হাতে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শ্রীনগর: ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফারুক আবদুল্লা। বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল উপত্যাকার রাজনৈতিক মহলে। মনে করা হচ্ছিল, বয়সজনিত কারণে সভাপতি পদ থেকে থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। শুক্রবারই সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফারুক নিজেই জানিয়ে দেন, তাঁর ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, “দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সেই মনবল নেই। আমার স্বাস্থ্যও সঙ্গ দিচ্ছে না।”
ফারুকের ইস্তফার পর নতুন করে জল্পনা শুরু হয়ে যায় ওই পদে এবার কে বসবেন। এই মুহূর্তে দলের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন তাঁর পুত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ওই পদের অন্যতম দাবিদার যে তিনিই এ কথা মেনে নিচ্ছেন দলের সিংহভাগ কর্মীই। তবে ইস্তফার সময় ফারুকের মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সভাপতি পদের নির্বাচনে যে কেউ লড়তে পারেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
উল্লখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের জন্মলগ্ন থেকেই ক্ষমতা কুক্ষিগত রয়েছে আবদুল্লা পরিবারের হাতে। ১৯৩২ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত শেখ আবদুল্লা এবং ১৯৮১ থেকে ২০০২ ফারুক আবদুল্লা, তারপর তাঁর পুত্র ওমর আবদুল্লা ২০০৬ পর্যন্ত ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করেছেন। ফের ওই পদে ২০০৬ সালে ফিরে আসেন ফারুক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ফারুক যতই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলুক না কেন, আবদুল্লা পরিবারের হাতেই দলের রাশ থাকবে। এই মুহূর্তে ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা গুপকর গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান।
জানা যাচ্ছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে। ফারুক যতই বলুক না কেন, যে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, কিন্তু ওই পদে ওমর যে বসতে চলেছেন, কার্যত মেনে নিচ্ছেন দলের কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা উদাহরণ টেনে আনছেন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের। এই মুহূর্তে মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলের সভাপতি হলেও রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে সেই গান্ধী পরিবারের হাতেই। এমনটাই অন্তত দাবি পর্যবেক্ষকদের।