Class 10 Board Exam : একসঙ্গে দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাবা-ছেলের, এক জন পাশ, আনন্দে ভাটা পড়ল অন্যের ফলে

Class 10 Board Exam : সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি ভাস্কর ওয়াঘমারের। কিন্তু, সবসময় চাইতেন পড়াশোনা করতে। সেই স্বপ্নই পূরণ হল। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করলেন।

Class 10 Board Exam : একসঙ্গে দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাবা-ছেলের, এক জন পাশ, আনন্দে ভাটা পড়ল অন্যের ফলে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 5:05 PM

মুম্বই : দু’জনে ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে বন্ধু নন তাঁরা। সম্পর্কে বাবা-ছেলে। বাড়ি থেকে একসঙ্গে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। ফল প্রকাশের দিন বাড়িতে চাপা টেনশন। দু’জনেই পাশ করবে তো? ফল বেরতে দেখা গেল, বাবা পাশ করেছেন। আর ছেলে দুটি বিষয়ে পাশ করতে পারেনি। মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের বাবা-ছেলের এই ফলে পরিবারের লোকেরা আনন্দ-দুঃখের দোটানায় পড়েছেন।

মহারাষ্ট্র স্টেট বোর্ড অব সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন দু’দিন আগে দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। ফল বেরনোর পর দেখা যায়, বছর তেতাল্লিশের ভাস্কর ওয়াঘমারে পাশ করেছেন। আর তাঁর ছেলে সাহিল ওয়াঘমারে দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলে যাওয়া হয়নি ভাস্কর ওয়াঘমারের। সংসার টানতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু, মনেপ্রাণে চাইতেন পড়াশোনা করতে। এত বছর পর মনের কথা খুলে বলেন পরিবারকে। পরিজনরা তাঁকে উৎসাহ দেন। ফের পড়াশোনা শুরু করেন ভাস্কর। স্কুল ছাড়ার ৩০ বছর পর এ বছর ছেলের সঙ্গে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দেন।

পাশ করার পর ভাস্কর বলেন, “আমি ছোট থেকেই পড়াশোনা করতে চাইতাম। কিন্তু, পরিবারের খারাপ আর্থিক অবস্থার কারণে আমাকে কাজে যোগ দিতে হয়। তাই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।” পড়াশোনা ফের শুরুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি পড়াশোনা করতে চাইছিলাম। কিছু কোর্স করতে চেয়েছিলাম, যাতে আরও বেশি আয় করতে পারি। সেই মতো দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নিই। আমার ছেলেও এ বছর দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেয়। ফলে আমার পড়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে।”

বেসরকারি অফিসে কাজ করেন ভাস্কর। প্রতিদিন কাজ শেষে পড়াশোনায় বসতেন। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন। নিজে পাশ করলেও ছেলে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর জন্য মন ভাল নেই ভাস্করের। তাঁর ছেলে দুই বিষয়ে ফেল করেছে। তবে তিনি আশাবাদী, সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় তাঁর ছেলে পাশ করে যাবে।

বাবা পাশ করায় আনন্দিত সাহিল। সে বলে, “আমার বাবা পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ফলে আমি খুশি। আমিও এখনই হাল ছাড়ব না। সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেব। আশা করি ওই দুটি বিষয়ে পাশ করব।”

মহারাষ্ট্র স্টেট বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় এ বছর পাশের হার ৯৬.৯৪ শতাংশ। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হয়েছিল। অন্য বছরের তুলনায় এ বার ৩০ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের।