Agnipath: আগুন লাগালেই বাদ ‘অগ্নিপথ’ থেকে! আবেদনকারীদের করতে হবে ‘এই’ অঙ্গীকার

Agnipath Protest: রবিবার (১৯ জুন), প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হল, অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভ-অগ্নিসংযোগে কেউ অংশ নিলে এই প্রকল্পে সে চাকরি পাবে না। এই বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে।

Agnipath: আগুন লাগালেই বাদ 'অগ্নিপথ' থেকে! আবেদনকারীদের করতে হবে 'এই' অঙ্গীকার
অগ্নিপথের জেরে উত্তপ্ত ভারত (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 6:25 PM

নয়া দিল্লি: অগ্নিপথ বা টুর অব ডিউটি প্রকল্প নিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চলছে হিংসাত্মক বিক্ষোভ। অবরোধ করা হয়েছে রাস্তা-রেলপথ। প্রতিবাদীরা ট্রেনে আগুন ধরিয়েছে, সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন পুলিশকর্মী-সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষও। এই অবস্থায়, এই বিক্ষোভের আঁচ কমাতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নরমে-গরমে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার (১৯ জুন), প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, চলতি বিক্ষোভ-আন্দোলনে যারা অংশ নিচ্ছে, তাদের কেউই অগ্নিপথ প্রকল্পে চাকরি পাবে না। শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এদিন জানিয়েছেন, ‘অগ্নিপথ’-এর জন্য আবেদন করতে গেলে, আবেদনকারীদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, তারা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কোনও হিংসাত্মক প্রতিবাদ বা অগ্নিসংযোগের ঘটনার জড়িত ছিল না।

এদিন, ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার শীর্ষ কর্তারা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই সামরিক বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি জানান, প্রত্যেক অগ্নিবীর আবেদনকারীকে শংসাপত্র জমা দিয়ে জানাতে হবে যে তারা কোনও হিংসাত্মক আন্দোলন বা অগ্নিসংযোগের অংশ ছিল না। তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি। ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুরকারীদের জন্য (ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে) কোনও স্থান নেই। প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি অঙ্গীকারপত্র দিতে হবে যে, তারা কোনও হিংসাত্মক প্রতিবাদ বা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ছিল না। ১০০ শতাংশ পুলিশি যাচাই ছাড়া কেউ বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের হয়ে থাকলে, তারা অগ্নিবীর হিসাবে যোগ দিতে পারবে না।’ নাম নথিভুক্তির ফর্মেই একটি অংশে আবেদনকারীদের এই অঙ্গীকার করতে হবে। তারপর তাদের পুলিশি যাচাই করা হবে।’

গত মঙ্গলবার (১৪ জুন), কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের নতুন এই পদ্ধতি চালু করেছিল। ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র বাহিনীর গড় বয়স কমানো এবং একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পেনশন বাবদ খরচ কমানো। এর জন্য, সাড়ে সতেরো থেকে একুশ বছর বয়সী পুরুষ এবং মহিলাদের চার বছরের মেয়াদের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছিল। পরে, শুধুমাত্র প্রথম বছরের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ করা হয়। তবে, তারও আগে থেকে রাজ্যে রাজ্যে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী যুবকদের বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। চার বছরের পরিষেবার পর, পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি ছাড়াই অবসর নিতে হবে অগ্নিবীরদের। এরপর তারা কী করবে, এই নিয়েই মূল বিক্ষোভ। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বারংবার জানানো হয়েছে, অগ্নিবীরদের পরবর্তীকালে রাজ্য পুলিশ এবং আধাসেনায় নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, তাদের অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজের উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।