১৫১ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধনে ত্রিপুরা যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী
রাজনীতির খবরে গত কয়েকদিনে বারবার শিরোনামে এসেছে ত্রিপুরা। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনে এ বার সেখানেই যাচ্ছেন নির্মলা সীতারামণ
আগরতলা: দু’দিনের সফরে ত্রিপুরা যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামী শুক্রবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি একাধিক নতুন প্রকল্প নিয়ে কথাও বলবেন তিনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবার ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে তাঁর অফিসেও একাধিক বৈঠক হবে সীতারামণের।
সফরের প্রথম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার মোট ১১টি প্রজেক্টের উদ্বোধন করবেন তিনি। এই প্রকল্পগুলিতে মোট বরাদ্দ থাকছে ১৫১ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন তিনি। শুক্রবারই ত্রিপুরার গান্ধীগ্রামে একটি টিকাকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন তিনি। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার ত্রিপুরাসুনন্দরী মন্দিরে পুজো দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শনিবার বিকেলেই দিল্লি ফিরবেন তিনি।
এ দিকেম ত্রিপুরায় দুই ফুলের রাজনৈতিক তরজা এখনও অব্যাহত। সম্প্রতি প্রকাশ্য মঞ্চে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন ত্রিপুরার এক বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূল নেতারা বিমানবন্দরে নামলেই তাঁদের উপর ‘তালিবানি কায়দায়’ হামলা চালানোর নিদান দিয়েছেন তিনি। অরুণ ভৌমিক নামে এই বিজেপি বিধায়ক উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেন মঞ্চ থেকে। মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতে ২৫ বছর ধরে যেই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে, সেই সরকারের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব, তালিবানি কায়দায় গিয়ে আক্রমণ করতে হবে। এয়ারপোর্টে নামলেই গিয়ে তাঁদেরকে আক্রমণ করতে হবে। প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা এই বিপ্লব দেবের সরকারকে রক্ষ করব। যাতে এখানে তাঁরা ঘাঁটি গাড়তে না পারে।’
অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেছেন, ‘ত্রিপুরাতে একা লড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। তবে ফ্যাসিস্ট মোদি সরকারকে হঠাতে ডান বাম সবাইকে স্বাগত।’ এর আগে ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করার অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। অভিষেক ছাড়াও সেই তালিকায় নাম ছিল দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশচন্দ্র দাসেরও। ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তা খারিজের আবেদন নিয়েই ত্রিপুরা হাইকোর্টে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, আপাতত কোনও রিপোর্ট বা চার্জশিট দিতে পারবে না পুলিশ। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি রয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ ও ৩৪ নম্বর- এই দু’টি ধারায় সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর হয়েছিল। আরও পড়ুন: বিয়ের পর জোর করে সঙ্গমও ধর্ষণ নয়: হাই কোর্ট