Taliban Writes to India: প্রথমবার ভারতকে চিঠি তালিবানের, দিল্লি-কাবুল বিমান চালু করার আহ্বান
DCGA: ডিসিজিএ-র তরফ থেকে ওই চিঠির সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ১৫ অগস্ট কাবুলের মসনদে তালিবান নতুন করে প্রবেশ করার পর ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হয়। তারপর থেকেই বন্ধ বিমান পরিষেবা।
নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানে (Afghanistan) দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার ভারতের সঙ্গে সরকারি স্তরে যোগাযোগ করল তালিবান (Taliban)। ভারত (India) ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিমান (Flight) পরিষেবা চালু করার বার্তা দেওয়া হয়েছে তালিবানের তরফে। ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনকে (DCGA) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ অগস্ট নতুন করে কাবুল দখল করে তালিবান। তার আগে থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ১৫ অগস্টের পর আফগানিস্তানের থাকা প্রায় সব ভারতীয়কেই ফিরিয়ে আনা হয় দিল্লিতে। শুধু ভারতীয় নয়, শিখ বা হিন্দু আফগানদেরও নিয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকেই দিল্লি (Delhi) ও কাবুলের (Kabul) মধ্যে বন্ধ রয়েছে বিমান পরিষেবা।
ডিসিজিএ-র কর্তা অরুণ কুমার জানিয়েছেন, এরকম একটি চিঠি এসেছে তাঁদের কাছে। আফগানিস্তানের অসামরিক বিমান পরিষেবা দফতর থেকে দেওয়া সেই চিঠিতে তালিবানের তরফে বলা হয়েছে তারা আফগানিস্তানের কাম এয়ার ও আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইনের বিমান চালাতে চায়। দিল্লি থেকে কাবুল ও কাবুল থেকে দিল্লি বিমান পরিষেবা চালু করতে চায় তারা। এই বিষয়ে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকেরসঙ্গে কথা বলা হয়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৬ অগস্ট থেকে সাধারণ বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুল ও নয়াদিল্লির মধ্যে। পরে কাতারের সাহায্য নিয়ে আফগানিসস্তানের একাধিক বিমানবন্দর চালু করে তালিবান। কাবুল বিমানবন্দরও চালু করা হয়। আফগানিস্তানে দেশের মধ্যে বিমান চালাচ্ছে আরিয়ানা এয়ারলাইনস। গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম কাবুল থেকে আন্তর্জাতিক বিমান যায় ইসলামাবাদে। বর্তমানে পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর তালিবানের ওই চিঠি এসেছে ভারতের কাছে। আফগানিস্তানের অসমারিক বিমান পরিষেবার দায়িত্বে থাকা আলহাজ হামিদুল্লা আখুন্দজাদা এই চিঠি দিয়েছেন অরুণ কুমারকে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পরিবহনে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই এই অনুরোধ করা হচ্ছে।’ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকার সেনাবাহিনী কাবুল বিমানবন্দরকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল। কাতারের সহযোগিতায় সেই বিমানবন্দর চালু করা হয়েছে। নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে তালিবানের তরফে।
উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকেই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় কাবুল বিমানবন্দরে। এমনকি বিমানের চাকায় চেপে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন বহু আফগান। দলে দলে আফগান নাগরিকেরা বিমানবন্দরের দিকে ছুটে যান। মার্কিন সেনার নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকদিন ছিল সেই কাবুল এয়ারপোর্ট। এরই মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে সেই বিমানবন্দরে, যাতে প্রাণ হারান বহু মানুষ। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরিভাবে চলে যাওয়ার পর তালিবানের হাতে আসে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ।