Manipur Violence: মণিপুরে ৪৮ ঘণ্টায় ৭ খুন, ইম্ফল জুড়ে বিক্ষোভ
Manipur Violence: হিংসা-ধ্বস্ত রাজ্যটিতে একদিন আগেই জঙ্গিদের হাতে দুই পুলিশ কমান্ডো খুন হয়েছিলেন। আরও দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। একই দিনে ইম্ফল পশ্চিম জেলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আরও এক গ্রামবাসীর প্রাণ গিয়েছিল। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই আরও চার ব্যক্তিকে হত্যা করা হল।
ইম্ফল: ফের অগ্নিগর্ভ হতে শুরু করেছে মণিপুর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় গুলি করে হত্যা করা হল হয়েছে চার গ্রামবাসীকে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুরের নিংথোখং খা খুনউ-তে। নিহতদের মধ্যে এক ব্যক্তি এবং তাঁর ৬০ বছর বয়সী প্রৌঢ় বাবাও আছেন। সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন এক গ্রামবাসী। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তাঁরা চাষের জমিতে লাঙ্গল দিচ্ছিলেন। আচমকা সেখানে হাজির হয়েছিল পাঁচ-ছয়জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। ওই কৃষিজীবীদের একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে তারা।
ওই ব্যক্তি পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকা থেকেই এসেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। নির্বিচারে হত্যালীলা চালানোর পর তারা আবার পাহাড়েই পালিয়ে যায়। হিংসা-ধ্বস্ত রাজ্যটিতে একদিন আগেই মায়নমার সীমান্তবর্তী মোরে শহরে জঙ্গিদের হাতে দুই পুলিশ কমান্ডো খুন হয়েছিলেন। আরও দুই পুলিশ সদস্য গুরুত আহত হন। একই দিনে ইম্ফল পশ্চিম জেলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আরও এক গ্রামবাসীর প্রাণ গিয়েছিল। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই এই চার ব্যক্তিকে হত্যা করা হল। সব মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টায় মণিপুরে হিংসার শিকার হয়েছেন সাতজন।
এদিকে, মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইম্ফল এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিক্ষোভ চলছে। মোরে-তে দুই পুলিশ কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে, বৃহস্পতিবার, রাস্তায় নেমেছিল ‘ইয়ুথ অব মণিপুর’ সংগঠনের শয়ে শয়ে স্বেচ্ছাসেবক। রাজ্য সচিবালয়ের সামনে এসে তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায়। গত জুনে মণিপুর সরকার রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেছিল সিআরপিএফ-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর কুলদীপ সিংকে। তাঁকেই ইউনিফাইড কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা তাঁর অপসারণের দাবি তুলেছে। তাদের দাবি, ইউনিফাইড কমান্ডকে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে মণিপুর পুলিশ । মোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, ইম্ফলে কয়েকটি হেলিকপ্টার আনা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করা হবে।