Election Commission Of India: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারের সুযোগ-সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল ইসি
Chief election commissioner: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা বর্তমানে মাসিক ৩৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাতা পায়। এই ভাতা সম্পূর্ণভাবে আয়কর মুক্ত, এই টাকার ওপর কোনও আয়কর দিতে লাগে না।
নয়া দিল্লি: গোটা দেশে লোকসভা, রাজসভা, বিধানসভার মতো গুরুত্ব নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্ব পালন করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। কাজের প্রযোজনেই নির্বাচনের কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা মেলেয কিন্তু এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল এই স্বশাসিত সংস্থা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) এবং নির্বাচন কমিশনারদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ কিছু ভাতা মিলত, যার জন্য তাদের আয়কর দিতে হত না, এখন থেকে এই সুবিধাও মিলবে না। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পাণ্ডের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, “অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি শুক্রবারের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের পাওয়া সুযোগ সুবিধাগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাদেরকে যে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়, তার ওপর করছাড়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা ১৯৯১ সালের আইনের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী যে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা তা আর এখন থেকে মিলবে না।”
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা বর্তমানে মাসিক ৩৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত ভাতা পায়। এই ভাতা সম্পূর্ণভাবে আয়কর মুক্ত, এই টাকার ওপর কোনও আয়কর দিতে লাগে না। বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “কমিশন ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কঠোর পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। কমিশন সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের এখন আয়করে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, সেই সুবিধা তারা আর গ্রহণ করবেন না। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদের এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনাররা নিজের স্বামী বা স্ত্রী, এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পারিবারিক সদস্যদের জন্য বছরে ৩ বার বিনামূল্যে ভ্রমণের সুবিধা পেত, সেই সুবিধাও এখন থেকে বছরে একবার মিলবে।