বিনা লাইসেন্সেই ফ্যাবিফ্লু সংগ্রহ ও বিতরণ, কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারে গৌতম গম্ভীরের সংস্থা

বিতর্ক শুরু হয় বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের একটি টুইট ঘিরে। গত ২১ এপ্রিল তিনি টুইট করে লেখেন, “পূর্ব দিল্লিতে যাঁদের ফ্যাবিফ্লু প্রয়োজন, তাঁরা আমার সাংসদ অফিস (২, জাগ্রীতি এনক্লেভ) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন।"

বিনা লাইসেন্সেই ফ্যাবিফ্লু সংগ্রহ ও বিতরণ, কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারে গৌতম গম্ভীরের সংস্থা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 03, 2021 | 3:14 PM

নয়া দিল্লি: বিনা অনুমতিতেই করোনার ওষুধ ক্রয় ও বিতরণ করে বিপাকে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি নেতা গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। বৃহস্পতিবার দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার দফতর(Drug Controller Department)-র তরফে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)-এ জানানো হয় যে, সাংসদ গৌতম গম্ভীরের সংস্থা ফ্যাবিফ্লু (Fabiflu) কেনা, মজুত করে রাখা বা বিতরণের জন্য কোনও প্রকার অনুমতি নেয়নি।

এ দিন দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলারের তরফে জানানো হয়, সময় নষ্ট না করেই দ্রুত গৌতম গম্ভীরের সংস্থা, ওষুধ সরবরাহকারী সহ যাঁরাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির বিধায়ক প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।

বিতর্ক শুরু হয় বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের একটি টুইট ঘিরে। গত ২১ এপ্রিল তিনি টুইট করে লেখেন, “পূর্ব দিল্লিতে যাঁদের ফ্যাবিফ্লু প্রয়োজন, তাঁরা আমার সাংসদ অফিস (২, জাগ্রীতি এনক্লেভ) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন। দয়া করে সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও নিজের আধার কার্ড আনবেন।”

পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ আনেন। জবাবে গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, “আমি যদি ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে কয়েকশো স্ট্রিপ ট্যাবলেট কিনে বিনামূল্যে বিতরণ করি, তবে তা কালোবাজারি হয়ে গেল? আমার কয়েকশো স্ট্রিপ কেনাতেই সঙ্কট দেখা গিয়েছে?” এরপরে দিল্লি পুলিশের তরফেও নোটিস পাঠানো হয় তাঁকে।

সঠিক তদন্ত না করেই গৌতম গম্ভীরের সংস্থাকে ক্লিনচিট দেওয়ার জন্য গত সপ্তাহেই ড্রাগ কন্ট্রোলার দফতরের তুমুল সমালোচনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরই আজ নতুন রিপোর্টে ড্রাগ কন্ট্রোলার দফতর জানায়, ফ্যাবিফ্লু কেনা, সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য গৌতম গম্ভীরের সংস্থার কাছে কোনও লাইসেন্স নেই।

এর আগে ১৪ মে দিল্লি পুলিশের কাছে গৌতম গম্ভীর বয়ান দেন। সেখানে তিনি বলেন, “জাগ্রীতি এনক্লেভে গত ২২ এপ্রিল থেকে ৭ মে অবধি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। গোটা মেডিক্যাল ক্যাম্পটি দিল্লির গর্গ হাসপাতালের নজরদারিতে পরিচালিত হয়েছিল। করোনা রোগীদের সাহায্যের জন্য অনুমোদন প্রাপ্ত ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকেই ২৬২৮ স্ট্রিপ ফ্যাবিফ্লু কেনা হয়। ২৩৪৩ স্ট্রিপ ওষুধ বিনামূল্যই বিতরণ করা হয়।”

আরও পড়ুন: একবার টেট পাশ করলেই আজীবনের বৈধতা, নয়া ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রকের