US Drone: নিখুঁত দক্ষতায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে সক্ষম, আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোন কিনবে ভারত
উচ্চ এলাকায় কাজ করতে সক্ষম এই ড্রোন। উচ্চ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন এই ড্রোন মিসাইল বহনে সক্ষম। দুর্গম এলাকায় এই ড্রোন জঙ্গিঘাঁটিতে নিখুঁত আক্রমণ শানাতে সক্ষম। মূলত সীমান্ত এবং জলসীমায় এই প্রিডেটর ড্রোনের ব্যবহার খুবই কার্যকরী।
নয়াদিল্লি: আমেরিকার থেকে প্রিডেটর ড্রোন কিনবে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। ডিএসি-র এই প্রস্তাব নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি মঞ্জুর করলেই প্রিডেটর ড্রোন কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে। প্রিডেটর ড্রোন তৈরি করে আমেরিকার সংস্থা জেনারাল অ্যাটোমিক্স। জঙ্গি দমন অভিযানে এই প্রকারের ড্রোনের সাফল্য প্রশ্নাতীত। তালিবান ও আইসিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইেও এই প্রিডেটর ব্যবহার করেছিল মার্কিন সেনা।
উচ্চ এলাকায় কাজ করতে সক্ষম এই ড্রোন। উচ্চ সহ্য ক্ষমতা সম্পন্ন এই ড্রোন মিসাইল বহনে সক্ষম। দুর্গম এলাকায় এই ড্রোন জঙ্গিঘাঁটিতে নিখুঁত আক্রমণ শানাতে সক্ষম। মূলত সীমান্ত এবং জলসীমায় এই প্রিডেটর ড্রোনের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা মার্কিন সংস্থার থেকে যে সংখ্যক প্রিডেটর ড্রোন কিনবে তা সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়ার হবে সেনার তিনটি বিভাগে। অর্থাৎ নৌসেনা, বায়ুসেনা ও স্থলসেনা- সকলের কাছেই থাকবে এই ড্রোন। তা মূলত সীমান্ত এলাকায় নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হবে।
বর্তমানে ভারতের হাতে ২টি প্রিডেটর ড্রোন রয়েছে। সে গুলি অবশ্য লিজে নেওয়া হয়েছে মার্কিন সংস্থার থেকে। মূলত সেই ড্রোন দিয়ে ভারত মহাসাগর এলাকায় নজরদারি চালায় নৌসেনা।
প্রসঙ্গত, বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের আগে বাইডেন প্রশাসন চুক্তিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের উপর চাপ দিচ্ছে। চুক্তি রূপায়নের ক্ষেত্রে সদর্থক পদক্ষেপ দেখাতে বলেছে। এর পরই ডিএসি এই প্রিডেটর ড্রোন কেনার ব্যাপারে সম্মতি দিল।