গুজরাটে ঘটতে পারত ‘লঙ্কাকাণ্ড’! আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ATS-এর বড় অ্যাকশন
Gujarat Anti-Terror Squad: আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ইসলামিক স্টেট জঙ্গি দলের ৪ সদস্য। সোমবার (২০ মে), বড় সড় সাফল্য পেল গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড। চারজনই শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।

আহমেদাবাদ: সোমবার (২০ মে), বড় সড় সাফল্য পেল গুজরাট পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড। এদিন, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করল এটিএস। চারজনই শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তারা চেন্নাই হয়ে আহমেদাবাদে এসেছিল বলে জানিয়েছে গুজরাট পুলিশ। সূত্রের খবর, এদিন আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের থেকে একটি বার্তা পাবে বলে অপেক্ষা করছিল তারা। অস্ত্রশস্ত্রও পাঠানোর কথা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী দলের সদস্যরা। অস্ত্র হাতে পাওয়ার আগেই, সন্ত্রাসবাদীদেরা সকলকে গ্রেফতার করে গুজরাট অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড।
#WATCH | Ahmedabad: Gujarat ATS arrests four ISIS terrorists at Ahmedabad airport. All four accused are Sri Lankan nationals. https://t.co/5kkwHjK9Gd pic.twitter.com/vbhh3esN7A
— ANI (@ANI) May 20, 2024
বর্তমানে চারজনকেই জেরা করা হচ্ছে। গুজরাটের ডিজিপি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবদীরা গুজরাটে বড় মাপের কোনও ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। জঙ্গিদের কারও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাদের ছবি প্রকাশ করেছে এটিএস। গত বছরের অগস্টে রাজকোট থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। তারা আল কায়েদার জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। এক বাংলাদেশি হ্যান্ডলারের হয়ে কাজ করছিল তারা। আল কায়েদার জন্য সদস্য সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসবাদী কাজে যুবদের উদ্বুদ্ধ করার কাজে যুক্ত ছিল তারা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতেই, গুজরাট উপকূল থেকে ১৪ জন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট এটিএস এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের কাছ থেকে ৬০২ কোটি টাকার ৮৬ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তারও আগে, গুজরাট এবং রাজস্থানে ‘মিউ মিউ’ নামের একটি নিষিদ্ধ মাদক তৈরির তিনটি গবেষণাগারের সন্ধান পেয়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়।





